
নয়াদিল্লি: বিপদকালে কূটবুদ্ধি কেন? প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। ইন্ডিগো বিপর্যয়ের সময় অন্য়ান্য বিমান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি তাঁদের টিকিটের ভাড়া কীভাবে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল? কেন্দ্র কেন তা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হল? বুধবার শুনানি পর্বে এই সকল প্রশ্ন তুলে একযোগে ভর্ৎসনা করলেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
এদিন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্য়ায় নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে চলছিল ইন্ডিগো মামলার শুনানি। সেখানেই ওঠে এই প্রসঙ্গগুলি। সংশ্লিষ্ট বিপর্যয় নিয়ে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় দিল্লির উচ্চ আদালত। নির্দেশ দেওয়া হয় ভোগান্তির মুখে পড়া যাত্রীদের যর্থাথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘আমি আশা রাখতে পারি যে এই ঘটনায় অসামরিক বিমান মন্ত্রক উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পাশাপাশি পরিস্থিতির শিকার হওয়া যাত্রীদের ডিজিসিএ এবং ইন্ডিগো যৌথভাবে ক্ষতিপূরণ তুলে দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।’ গত পয়লা ডিসেম্বর থেকে বিপর্যস্ত ইন্ডিগোর উড়ান পরিষেবা। একের পর এক উড়ান বাতিলে সমস্যায় পড়েছে যাত্রীরা। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। কিন্তু ততক্ষণে বাতিল হয়ে গিয়েছে দু’হাজারের অধিক বিমান।
এই সময়কালে একাধিক যাত্রীরা অন্য সংস্থার বিমানে চেপে নিজেদের গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। একাংশ সফল হন, কিন্তু একটা বড় অংশ পিছিয়ে পড়ে আর্থিক চাপে। কারণ একটাই, ইন্ডিগোর বিপর্যয় দেখে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছিল অন্য বিমানপরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি। সামান্য থেকে সামান্য়তম দূরত্বের জন্য ভাড়া চাইছিল ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
বুধবার দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন সেই নিয়ে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘এমন একটা সঙ্কটকালে কীভাবে অন্য় সংস্থাগুলি ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে? ন্যূনতম দূরত্বের জন্য ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছিল তাঁরা। এটা কি উচিত? কেন্দ্রীয় সরকার কি করছিল? তারা কেন এই অনাচার আটকাতে পারেনি?’