নয়াদিল্লি: বধূ নির্যাতন বিরোধী আইন নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের। স্বামীর লিভ-ইন-পার্টনার কিংবা বান্ধবী, কখনওই ধারা ৪৯৮ (ক) এর আওতায় পড়বে না বলেই জানাল শীর্ষ আদালত। ২০১৯ সালের একটি মামলার ভিত্তিতে এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
স্বামীর আচরণে বদল, সেই থেকে মনে জন্মে ছিল সন্দেহ। তারপর খোঁজ করতেই বেরিয়ে এল পরকীয়ার সম্পর্ক। অন্য এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, আর তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়তেই শুরু হল অত্য়াচার, এমনটাই অভিযোগ স্ত্রীর। শারীরিক ও মানসিক ভাবে নাকি স্ত্রীয়ের উপর অত্যাচার চালাতেন স্বামী ও তাঁর বান্ধবী।
এই ঘটনার ভিত্তিতে কর্নাটক হাইকোর্টে ২০১৯ সালে ধারা ৪৯৮ (ক)এর আওতায় দায়ের করা হয় বধূ নির্যাতনের মামলা। তবে এখানেই পড়েনি বাঁধ। কর্নাটকের আদালত থেকে জল গড়ায় শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। স্ত্রীয়ের করা মামলার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে দারস্থ হন স্বামীর বান্ধবী। শুরু হয় শুনানি। কেন তাঁর বিরুদ্ধে বধু নির্যাতনের ধারায় মামলা করা হয়েছে, এই প্রসঙ্গেও প্রশ্ন ছোড়েন তিনি। এদিন সেই মামলার ভিত্তিতেই রায় প্রদান করে সুপ্রিম কোর্ট। জানায়, ধারা ৪৯৮এর আওতায় কখনওই স্বামীর বান্ধবীর নাম দায়ের করা যায় না।
কী এই ধারা ৪৯৮?
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী, ধারা ৪৯৮(ক) বিবাহিত মহিলাদের গার্হস্থ্য হিংসা থেকে রক্ষা করে থাকে। স্বামী ও তার পরিবার, আত্মীয়দের হেনস্থা থেকে মহিলাকে মুক্তি দেওয়ার কাজই করে থাকে এই আইন।