Hyderabad: হাসি ‘ঠিক করতে’ গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু যুবকের! বাগদান হল, বিয়ে হল না
Hyderabad man dies during smile-enhancement surgery: তাঁর মনে একটা খচখচানি ছিল। তাঁর মনে হত, হাসলে তাঁকে খুব একটা ভাল দেখায় না। আর তাই নিজের হাসিটা 'ঠিকঠাক' করতে চেয়েছিলেন তিনি। শরনাপন্ন হয়েছিলেন এক ডেন্টাল ক্লিনিকের। তারা পরামর্শ দিয়েছিল 'স্মাইল ডিজাইনিং' নামে এক প্রক্রিয়ার। কিন্তু, অস্ত্রোপচারের সময় মৃত্যু হয়েছে লক্ষ্মী নারায়ণ ভিনজামের।
হায়দরাবাদ: বিয়ের দিন সকলেই চায়, তাকে যেন দেখতে সুন্দর লাগে। ওই একটা দিনই তো সকল বর-বউ বলিউডের রোম্যান্টিক হিরো-হিরোইন। বিয়ের দিন নিজেকে আরও সুন্দর করে তুলতে চেয়েছিলেন হায়দরাবাদের লক্ষ্মী নারায়ণ ভিনজামও। আগামী মাসেই তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ২৮ বছরের এই যুবকের। এক সপ্তাহ আগেই হয়ে গিয়েছিল বাগদান পর্ব। কিন্তু, তাঁর মনে একটা খচখচানি ছিল। তাঁর মনে হত, হাসলে তাঁকে খুব একটা ভাল দেখায় না। আর তাই নিজের হাসিটা ‘ঠিকঠাক’ করতে চেয়েছিলেন তিনি। শরনাপন্ন হয়েছিলেন এক ডেন্টাল ক্লিনিকের। তারা পরামর্শ দিয়েছিল ‘স্মাইল ডিজাইনিং’ নামে এক প্রক্রিয়ার। কিন্তু, অস্ত্রোপচারের সময় মৃত্যু হয়েছে লক্ষ্মী নারায়ণ ভিনজামের।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ ফেব্রুয়ারি, হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস এলাকায়। ‘এফএমএস ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল ক্লিনিক’ নামে, এখানকার এক ক্লিনিকেই ‘স্মাইল ডিজাইনিং’ প্রক্রিয়া করাতে গিয়েছিলেন লক্ষ্মী। তাঁর বাবা বামুলু ভিনজামের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের আগে অজ্ঞান করার সময়, অ্যানেস্থেসিয়া ওভারডোইজে লক্ষ্মীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের সময় তার ছেলে সংজ্ঞা হারান। তারপর ওই ক্লিনিক থেকে ফোন করে তাদের খবর দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা ওকে নিকটস্থ এক হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।” তিনি আরও জানান, লক্ষ্মী এই অস্ত্রোপচারের বিষয়ে তাঁদের কিছুই জানায়নি। তাঁর কোনও স্বাস্থ্যগত সমস্যাও ছিল না। রামুলু ভিনজাম বলেছেন, “ওর মৃত্যুর জন্য ডাক্তাররাই দায়ী।”
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই ডেন্টাল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে জুবিলি হিলস থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। স্টেশন হাউস অফিসার কে বেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি জানিয়েছেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর আড়াইটে নাগাদ ওই ক্লিনিকে এসেছিলেন লক্ষ্মী নারায়ণ। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে অস্ত্রোপচার চলে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ক্লিনিক থেকে লক্ষ্মীর বাবাকে ফোন করা হয়। তাঁরা আসার পর, তাঁকে পরে জুবিলি হিলসের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। তিনি আরও জানান, তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতালের রেকর্ড এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ক্লিনিকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা ২০১৭ সাল থেকে একটানা কাজ করে চলেছে। কখনও তাদের বিরুদ্ধে এই দরনের কোনও অভিযোগ ওঠেনি। বরং ৫৫টিরও বেশি পুরষ্কার পেয়েছে তারা।