নয়াদিল্লি: চোখে আইএএস-আইপিএস হওয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণে দিল্লি পাড়ি। রাজধানীর নামী-দামি কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা। সন্তান আমলা হবে ভেবে গর্ববোধ হয় বাবা-মার। কিন্তু, সেই সন্তান কতটা মানসিক চাপে রয়েছেন, সেই খবর অনেকসময় বাবা-মায়েরা পান না। আর নিজের মানসিক চাপের কথা জানাতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন এক ইউপিএসসি পড়ুয়া। ‘আই কুইট’ লিখে নিজেকে শেষ করে দিয়েছিলেন ‘৩ ইডিয়টস’ সিনেমার জয়। আর মহারাষ্ট্রের ওই যুবতী বাবা-মার কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছেন।
কয়েকদিন আগে দিল্লির রাজেন্দ্র নগরে একটি IAS কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে বৃষ্টির জল ঢুকে ৩ পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। তা নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের ওই পড়ুয়ার ঘটনাটি সামনে এসেছে। কোচিং সেন্টারে দুর্ঘটনার কয়েকদিন আগেই ওই যুবতী আত্মহত্যা করেন।
মহারাষ্ট্রের ওই যুবতী ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দিল্লি এসেছিলেন। সুইসাইড নোটে নিজের মানসিক চাপের কথা জানিয়ে গেছেন। বাবা-মার কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখেছেন, “মামি-পাপা, আমায় ক্ষমা করো। আমি আর পারছি না। শুধুই সমস্যা আর ইস্যু। কোনও শান্তি নেই। অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসার সবরকম চেষ্টা করেছি। কিন্তু, পারলাম না।”
ওই যুবতীর এক বান্ধবী সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “তিনবার পরীক্ষা দিয়েছিল। নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, পাশ করতে পারেনি। তার উপর মানসিক চাপ বাড়ছিল। একইসঙ্গে আর্থিক চাপও বাড়ছিল। কারণ, বাড়িভাড়া কয়েকমাস ছাড়াই বাড়ে।” ঘটনার তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। এক আধিকারিক জানান, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।