
পটনা: তিনি বিহারের জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত শিল্পী। বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে যখন পারদ চড়ছে, তখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু, হঠাৎ কেন গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন? খোলসা করলেন সঙ্গীতশিল্পী মৈথিলী ঠাকুর। জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথাও জানিয়ে দিলেন।
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি জোর কদমে প্রচার শুরু করেছে। এই আবহে মৈত্রিলীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এবার মৈথিলী নিজেই বললেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাঁদের সমর্থন জানাতেই আমি এখানে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সবচেয়ে প্রিয় নেতা বলে জানালেন।
নিজের ইচ্ছে পূরণে নয়, জনগণের সেবা করতেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানালেন এই লোকসঙ্গীত শিল্পী। বলেন, “আমি মনে করি না, আপনি একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন মানেই আপনি রাজনীতিক হয়ে গেলেন। আমি এখানে সমাজের সেবা করতে এসেছি। তাদের মতাদর্শ প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।”
মৈথিলী লোকসঙ্গীত ও ভক্তিগীতির জন্য বিখ্যাত এই সঙ্গীতশিল্পী। নিজেকে ‘মিথিলার কন্যা’ বলে উল্লেখ করে মৈথিলী বলেন, “আমি মিথিলার মেয়ে। আমার আত্মা মিথিলাতেই রয়েছে।” বিজেপিতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে মৈথিলী বলেন, “আমাকে নিয়ে তারা কী ভাবছে, তা দলই বলতে পারবে। আমি শুধু তাদের সমর্থন জানাতে এসেছি। দল যা বলবে, আমি সেটাই করব।” তবে দল তাঁকে এই নির্বাচনে প্রার্থী করলে, তিনি ভোটে লড়তে প্রস্তুত বলে জানালেন বছর পঁচিশের মৈথিলী। তাঁকে প্রার্থী করা হলে, কোন আসনে দাঁড়াতে চাইবেন? প্রশ্ন শুনে মৈথিলীর জবাব, “মধুবনী ও দ্বারভাঙার সঙ্গে আমার শিকড়ের যোগ রয়েছে। আমার ঠাকুরমার গ্রাম মধুবনীতে। আর আমার দিদার গ্রাম দ্বারভাঙায়। দুই জায়গার মানুষই আমায় সমান ভালবাসেন। তবে দল এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।”