
নয়াদিল্লি: বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতিকে সময় বেঁধে দেওয়ার বিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টে লাগাতার সওয়াল করে চলেছে কেন্দ্র। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সওয়াল করেন, সময় বেঁধে দেওয়ার অর্থ রাজ্যপালের সাংবিধানিক অধিকার ‘হ্রাস’ করা। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স নিয়ে শুনানিতে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০০-র ব্যাখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত বলল, যদি বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রাখার অধিকার থাকে রাজ্যপালের, তাহলে তো আর্থিক বিলও আটকে রাখতে পারেন তিনি।
কয়েকমাস আগে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল দীর্ঘদিন ফেলে রাখতে পারেন না রাজ্যপাল। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতিকে সময় বেঁধে দিয়েচিল। তারপর মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয়। প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই ছাড়াও এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি পিএস নরসিমহা, বিচারপতি অতুল এস চন্দুরকর।
এদিন শুনানির সময় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০০-র ব্যাখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০০ রাজ্যপালকে অধিকার দিয়েছে যে, বিধানসভায় বিল ফেরত না পাঠিয়ে তিনি আটকে রাখতে পারেন। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, এই ব্যাখ্যা যদি গ্রহণযোগ্য হয়, তার মানে রাজ্যপাল আর্থিক বিলও আটকে রাখতে পারেন। অথচ সেগুলি তাঁকে অনুমোদন করতে হয়। এই পরিস্থিতি ‘সমস্যাযুক্ত’ বলে আদালতের পর্যবেক্ষণ।
এদিন বিচারপতি পিএস নরসিমহা বলেন, ” কেন্দ্রের মতে, যদি রাজ্যপাল বিল আটকে রাখেন, এর অর্থ বিলটি বাতিল হয়ে গিয়েছে। অন্যভাবে বলা যায়, আটকে রেখে বিলে ভেটো প্রয়োগ করতে পারেন রাজ্যপাল। সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল আর্থিক বিলও আটকে রাখতে পারেন। অথচ আর্থিক বিলে অনুমোদন করতে হয়। ফলে এই ব্যাখ্যায় একটা বড় সমস্যা রয়েছে।”