নয়াদিল্লি: নিট(NEET) পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগ নিয়ে এবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে(NTA) ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। ২০২৪ সালের নিট পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগ নিয়ে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদনগুলির শুনানিতে মঙ্গলবার NTA-কে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, “কোনও ভুল হয়ে থাকলে হ্যাঁ বলুন। বলুন যে এই ভুল হয়ে গিয়েছে। এবং এর জন্য এই পদক্ষেপ আমরা করতে চলেছি।”
চিকিৎসকের পেশায় প্রবেশের জন্য নিট(NEET) পরীক্ষা নেয় এনটিএ(NTA)। এই পরীক্ষায় বসার জন্য পরীক্ষার্থী কঠোর প্রস্তুতি নেয়। সেকথা উল্লেখ করে বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ বলে, দেশের অন্যতম কঠিন প্রবেশিকা পরীক্ষা হল NEET। এই পরীক্ষায় বসতে ছাত্ররা যে কঠোর পরিশ্রম করে, তা কারও ভোলা উচিত নয়। বিচারপতিরা বলেন, “ভেবে দেখুন কেউ এই সিস্টেমের সঙ্গে প্রতারণা করে চিকিৎসক হয়ে গেলেন। সমাজের জন্য তিনি বেশি ক্ষতিকর হবেন। পড়ুয়ারা এই পরীক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে।”
দেশের শীর্ষ আদালত বলে, তারা আশা করে এই বেনিয়মের অভিযোগ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করবে এনটিএ। এবং সব পরীক্ষার্থীরা যাতে সমান সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করবে পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা। বিচারপতিরা বলেন, কারও তরফে যদি ০.০০১ শতাংশও অবহেলা হয়ে থাকে, তাহলেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ জুলাই।
এর আগে গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে NTA জানায়, ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের স্কোরবোর্ড বাতিল করে ফের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৩ জুন সেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন ওই পরীক্ষার্থীরা। ৩০ জুনের মধ্যে ফল ঘোষণা করা হবে। শীর্ষ আদালতে NTA আরও জানিয়েছিল, কোনও পরীক্ষার্থী যদি ফের পরীক্ষায় বসতে রাজি না হয়, সেক্ষেত্রে গ্রেস নম্বর বাদ দিয়ে তাঁর নম্বর বিবেচনা করা হবে। প্রসঙ্গত, এবছর ৫ মে প্রায় ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী নিট পরীক্ষা দেন। ফল প্রকাশ হয় ৪ জুন। ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ৭২০ নম্বরের পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরই পেয়েছেন।