Air India Plane Crash: 11A যাত্রীর মতোই মৃত্যুকে হারিয়ে ফিরবে মা-মেয়ে? বিমান দুর্ঘটনার পর তিন দিন ধরে আশ্চর্যের অপেক্ষায় রবি

Air India Plane Crash: তাদের অনুপস্থিতি যদি কেউ ক্যান্টিনে আসে, সেই কথা মাথায় রেখেই সেখানে বসিয়ে রেখে গিয়েছিলেন তার মা-কে। সঙ্গে কোলে বসিয়ে দিয়েছিলেন তাদের দুই বছরের কন্যা সন্তানকে।

Air India Plane Crash: 11A যাত্রীর মতোই মৃত্যুকে হারিয়ে ফিরবে মা-মেয়ে? বিমান দুর্ঘটনার পর তিন দিন ধরে আশ্চর্যের অপেক্ষায় রবি
ঘটনাস্থলের ছবিImage Credit source: PTI

|

Jun 15, 2025 | 6:10 PM

আহমেদাবাদ: বৃহস্পতিবার মেঘানিনগর বিজে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যখন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি গিয়ে ধাক্কা মারে, তার ঠিক ৩০ মিনিট আগে ওই কলেজের হস্টেল ছেড়ে খাবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে বেরিয়েছিলেন রাঁধুনি রবি ঠাকুর ও তার স্ত্রী। তাদের অনুপস্থিতি যদি কেউ ক্যান্টিনে আসে, সেই কথা মাথায় রেখেই সেখানে বসিয়ে রেখে গিয়েছিলেন তার মা-কে। সঙ্গে কোলে বসিয়ে দিয়েছিলেন তাদের দুই বছরের কন্যা সন্তানকে।

তারা যখন খাবার দিতে ব্যস্ত। তখনই ঘটে যায় বড় বিপত্তি। সরাসরি মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনে এসে ধাক্কা মারে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের একটা অংশ। তারপরেই বিরাট বিস্ফোরণ। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। এই বিকট শব্দ ও কালো ধোঁয়া দেখতে পেয়েছিল ওই দম্পতিও।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্টকে তারা জানিয়েছে, ‘প্রথমে মনে করি, কারওর বাড়িতে সম্ভবত গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গিয়েছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে বুঝে যাই যে এটা তার থেকেও বড় বিপর্যয়। দেখি, দাউদাউ করে জ্বলছে কলেজের বিল্ডিংটা। আর তারপর থেকে মা ও মেয়ের কোনও হদিশ নেই।’

রবি ঠাকুর জানিয়েছেন, ‘যদি তারা মারাও গিয়ে থাকে, তাদের দেহটা যাতে মেলে সেই জন্য হাসপাতাল থেকে মর্গ সমস্ত জায়গায় খুঁজেছি। কিন্তু কোথাও তাদের হদিশ মেলেনি। এমনকি পুলিশের কাছেও সেই ভিত্তিতে নিখোঁজ হওয়ার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’

এরপরেই প্রত্যাশার চোখে রবির সংযোজন, ‘যদি একজন যাত্রী বেঁচে যেতে পারেন, তা হলে দ্বিতীয়বার একই রকমের আশ্চর্য বা ঐশ্বরিক ঘটনা ঘটতেই পারে। হয়তো তারা যেখানেই রয়েছে নিরাপদই আছেন। আমি জানি, তাদের জীবিত খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু আমি এখনও আশা ছাড়িনি।’