
শ্রীনগর: পেশায় শিক্ষক। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জঙ্গিদের ‘সহযোগিতা’ করার। বুধবার সন্ধ্যায় সেই অভিযুক্তকেই পাকড়াও করল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ (Jammu-Kashmir Police)। ধৃতের নাম মহম্মদ কাটারিয়া। বয়স বছর ছাব্বিশ। পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পাঁচ মাস পর কুলগাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পহেলগাঁওয়ের ওই তিন নিহত সন্ত্রাসবাদীকে পথ দেখিয়েছিলেন তিনিই। আপাতত অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অপারেশন মহাদেব (Operation Mahadev) অভিযান পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গিকে খতম করার পর সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া নথি, বন্দুক সরঞ্জাম ফরেন্সিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে কাটারিয়ার হদিশ পান নিরাপত্তারক্ষীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, কুলগামেই (Kulgam) চুক্তিভিত্তিক কর্মীর কাজ করতেন তিনি। আশপাশের এলাকার বাচ্চাদেরও পড়াতেন। কিন্তু শিক্ষকতার ফাঁকে কাটারিয়া জড়িয়ে পড়েন লস্কর জঙ্গিদের সঙ্গে। পহেলগাঁও হামলার মাস কয়েক আগেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট। এরপর ভারতে বসেই তাদের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করে কাটারিয়া, এমনটাই অভিযোগ।
কিন্তু জঙ্গিদের কীভাবে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি? তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পহেলগাঁও হামলার আগে বৈসরণ উপত্যাকায় তিন জঙ্গিদের জঙ্গলের পথ দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনিই। এমনকি, তাদের পালানোর পথটাও ওই ‘শিক্ষকই’ করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তবে কাটারিয়াকে গ্রেফতার করার পর থেকে পহেলগাঁও সংক্রান্ত আরও তথ্য বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এলাকায় জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটি, কীভাবে অপারেশন চলে, সবটাই খোঁজ লাগানোর চেষ্টা করছে তারা।
এর আগে গত জুন মাসেও দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল NIA। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল জঙ্গিদের নানা ভাবে সাহায্য এবং আস্তানা জোগাড় করে দেওয়ার। পহেলগাঁও হামলা ও তার পরিবর্তে সময়ে ‘বদলা’ হিসাবে ভারতের অপারেশন সিঁদুর হয়ে মাস কয়েক কেটে গেলেও, সম্প্রতি দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাফ বার্তা দিয়েছেন অভিযান এখনও শেষ হয়নি। অপারেশন সিঁদুর চলছে, চলবে। জঙ্গিদের সম্পূর্ণ ভাবে শেষ করবে ভারত।