মালিকের নুন খেয়েছে! তাই পুলিশ-পঞ্চায়েত ‘ফেল’ হলেও ‘নমকহারাম’ নয় মোষ

Buffalo: তিনদিন খোঁজাখুঁজির পর নন্দলাল অবশেষে তাঁর হারিয়ে যাওয়া মোষের খোঁজ পান। কিন্তু হনুমান সরোজ সেই মোষ ফেরত দিতে নারাজ। তাঁর দাবি, রাস্তা থেকে মোষটিকে এনেছেন তিনি। এখন মালিক তিনিই। মোষ ফেরত পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন নন্দলাল।

মালিকের নুন খেয়েছে! তাই পুলিশ-পঞ্চায়েত 'ফেল' হলেও 'নমকহারাম' নয় মোষ
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Jul 06, 2024 | 1:15 PM

লখনউ: পুলিশ ব্য়র্থ, পঞ্চায়েতও সমস্য়া মেটাতে পারেনি। চিন্তায় ঘুম নেই গোটা গ্রামের। যে সমস্যার সমাধান করতে পারল না কেউ, সেই সমস্যা মিটিয়ে দিল মোষই! বাড়ি থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়া মোষের মালিকানা আসলে কার, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল টানাপোড়েন। পুলিশ, পঞ্চায়েতও সেই রহস্যের সমাধান করতে পারেনি। শেষে মোষই বলে দিল তার মালিক কে?

উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড়ের অস্করণপুর গ্রামের বাসিন্দা নন্দলাল সরোজ। দিন কয়েক আগে তাঁর গোয়াল থেকে একটি মোষ উধাও হয়ে যায়। দড়ি ছিঁড়েই পালিয়েছিল সেই মোষ। তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোথাও তার টিকি পাননি নন্দলাল।

এদিকে, বাড়ি থেকে পালিয়ে মোষ চরতে চরতে পৌঁছে গিয়েছিল হরিকেশ গ্রামে। সেখানে হনুমান সরোজ নামে এক ব্যক্তি সেই মোষটিকে রাস্তা থেকে ধরে এনে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন।

অন্য়দিকে, তিনদিন খোঁজাখুঁজির পর নন্দলাল অবশেষে তাঁর হারিয়ে যাওয়া মোষের খোঁজ পান। কিন্তু হনুমান সরোজ সেই মোষ ফেরত দিতে নারাজ। তাঁর দাবি, রাস্তা থেকে মোষটিকে এনেছেন তিনি। এখন মালিক তিনিই। মোষ ফেরত পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন নন্দলাল।

পুলিশ দুই পক্ষকেই থানায় ডাকে, অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দুজনেই নিজের জেদে অনড়। শেষে পঞ্চায়েত বসিয়েও লাভ হয়নি। মহেশগঞ্জ থানার স্টেশন ইনচার্জ শেষে পরামর্শ দেন যে মোষটিকে একা ছেড়ে দেওয়া হোক। গ্রামের দুই দিকে নন্দলাল ও হনুমান দাঁড়াক, মোষ যার দিকে যাবে, মালিক সে-ই।

পুলিশের নির্দেশ মতোই নন্দলাল নিজের গ্রামের দিকে দাঁড়ান, অন্যদিকে হনুমান তাঁর গ্রামের দিকে দাঁড়ান। থানা থেকে মোষটিকে ছাড়তেই সে গুটিগুটি পায়ে মালিক নন্দলালের দিকেই হাঁটা দেয়। ব্যস, ঠিক হয়ে গেল আসল মালিক কে!