Independence Day Flag: ভারতের জাতীয় পতাকার নকশায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান, কে এই স্বাধীনতা সংগ্রামী?
Independence Day Flag: ১৯ বছর বয়সে পিঙ্গলা যোগ দেন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বোয়ের যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি দেখেছিলেন, সেনায় কাজ করা ভারতীয়দের ব্রিটিশ ইউনিয়ন জ্যাককে স্যালুট ঠুকতে হয়। সেখান থেকেই ভারতের পতাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তিনি।

কলকাতা: তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী। গান্ধীবাদী নেতা। তবে ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার। তাঁর নকশা করা পতাকায় সামান্য রদবদল ঘটিয়েই তৈরি হয়েছে স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা।
১৮৭৮ সালের ২ অগস্ট অন্ধ্র প্রদেশের ভাটলাপেনুমারুতে এক তেলুগু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার। ১৯ বছর বয়সে তিনি যোগ দেন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বোয়ের যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি দেখেছিলেন, সেনায় কাজ করা ভারতীয়দের ব্রিটিশ ইউনিয়ন জ্যাককে স্যালুট ঠুকতে হয়। সেখান থেকেই ভারতের পতাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকাতেই মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে তাঁর। এর পর ১৯০৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত এআইসিসি-র বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি পতাকার নকশা তৈরির কথা বলেন। সেখানে নিজস্ব পতাকা তৈরির বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো পতাকার ২৫টি নকশা তৈরি করেছিলেন পিঙ্গালি। পরে গান্ধী একটি নকশা জমা দেওয়ার জন্য বলেন তাঁকে।
গান্ধীজির কাছ থেকে এই বার্তা পাওয়ার পরই জাতীয় পতাকার নকশা তৈরি করেন পিঙ্গলা। তাতে ছিল দুটি রং। লাল ও সবুজ। গান্ধীজি সাদা রঙের একটি স্তর যোগ করতে অনুরোধ করেন। সেই মতো মধ্যে সাদা রেখে দুপাশে লাল ও সবুজ রং দিয়ে নকশা করা হয় পতাকার। এর মধ্যে ছিল চরকার প্রতীক। সেই পতাকায় কংগ্রেসের বিভিন্ন বৈঠকে ব্যবহার করা হত। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই তা কংগ্রেসের অফিসিয়াল প্রতীক হয়। ১৯৪৭ সালে এই পতাকাতেই কিছুটা পরিবর্তন এনে তৈরি হয় ভারতের জাতীয় পতাকা। লালের বদলে গেরুয়া এবং সাদার মধ্যে অশোকচক্র ঠাঁই পায় ভারতের পতাকায়।
আজীবন গান্ধীজির মতাদর্শ মেনে চলেছেন পিঙ্গলা ভেঙ্কাইয়া। ১৯৬৩ সালে তিনি প্রয়াত হন। তাঁকে সম্মান জানিয়ে ২০১৪ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর বিজয়ওয়াডা কেন্দ্রটি তাঁর নামে করা হয়।

