স্বাধীনতা দিবস
১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট। ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে স্বাধীন হল ভারত। ভারতকে স্বাধীন করতে প্রাণ বলিদান দিয়েছেন শহিদ ভগৎ সিংয়ের মতো বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বাল গঙ্গাধর তিলকের মতো মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন। আবার অহিংস আন্দোলন করে ইংরেজদের ভারত ছাড়তে বাধ্য করেছেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী। প্রতি বছর ১৫ অগস্ট দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। হয় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। অনুষ্ঠানটি জাতীয় চ্যানেল দূরদর্শনের মাধ্যমে সারা দেশে সম্প্রচারিত হয়। রাজ্যগুলির রাজধানীতেও পতাকা উত্তোলন-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যগুলিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পতাকা উত্তোলন করতেন রাজ্যপালরা। ১৯৭৪ সালে তামিলনাড়ুর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধি দাবি জানান, রাজ্যগুলিতে স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলন করুন মুখ্যমন্ত্রীরা। এই নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ওই বছর থেকেই রাজ্যগুলিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রীরা। দেশের কোণায় কোণায় স্বাধীনতা দিবসে মেতে ওঠেন আপামর ভারতবাসী। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনাবাসী ভারতীয়রাও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন।