PM Narendra Modi: ‘বিকশিত ভারত’ গড়তে কী কী লক্ষ্যপূরণ করতে হবে? ব্লু প্রিন্ট এঁকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

Independence Day Speech: ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই লক্ষ্য অর্জনে ভারতের উন্নয়ন, উদ্ভাবনের কথাই বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী ৯৮ মিনিট বক্তব্য রাখেন। এটাই স্বাধীনতা দিবসে দীর্ঘতম বক্তৃতা। 

PM Narendra Modi: 'বিকশিত ভারত' গড়তে কী কী লক্ষ্যপূরণ করতে হবে? ব্লু প্রিন্ট এঁকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী মোদী।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Aug 15, 2024 | 1:54 PM

নয়া দিল্লি: স্বাধীনতা দিবসেই বিকশিত ভারতের রূপরেখা তৈরি করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই লক্ষ্য অর্জনে ভারতের উন্নয়ন, উদ্ভাবনের কথাই বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী ৯৮ মিনিট বক্তব্য রাখেন। এটাই স্বাধীনতা দিবসে দীর্ঘতম বক্তৃতা।  এদিনের ভাষণে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী, তা হল-

সহজ জীবনযাপনের লক্ষ্য- সাধারণ মানুষের জীবনযাপন আরও সহজ করতেই মিশন মোডে  ‘ইজ অব লিভিং’ স্বপ্নে কাজ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি জানান পরিকাঠামো ও পরিষেবাগত পরিবর্তন এনে শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষদের জীবনযাপন সহজ করা হয়েছে।

নালন্দার ঐতিহ্য পুনর্জ্জীবিত করা- প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তাধারাকে পুনর্জ্জীবিত করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে ভারতকে বৈশ্বিক শিক্ষা হাবে পরিণত করার পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

মেড ইন ইন্ডিয়া সেমি-কন্ডাক্টর উৎপাদন- সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে বৈশ্বিক নেতা হয়ে ওঠাই ভারতের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে আমদানির উপরে নির্ভরশীলতা কমাতে এবং আত্মনির্ভরতা বাড়ানোর কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

স্কিল ইন্ডিয়া- ২০২৪ সালের বাজেটের প্রসঙ্গ টেনেই এ দিন প্রধানমন্ত্রী যুবদের প্রশিক্ষণ নিয়ে সরকারের উদ্যোগ ও পরিকল্পনার কথা বলেন।

উৎপাদন শিল্পের হাব- প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতকে বৈশ্বিক ম্যানুফাকচারিং হাব বা উৎপাদনী শিল্পের হাবে পরিণত করা হবে। এর জন্য দেশের দক্ষ কর্মক্ষমতা প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ডিজাইন ইন ইন্ডিয়া, ডিজাইন ফর দ্য ওয়ার্ল্ড- দেশের শিল্পীদের দক্ষতাকে তুলে ধরেই স্থানীয় নকশা বা ডিজাইনের উপরে বিশেষ জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের শিল্পীদের তিনি এমন ডিজাইন তৈরি করা উচিত, যা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও বিক্রি হবে।

গ্লোবাল গেমিং মার্কেটে নেতৃত্ব- গেমিং ও গেমিং প্রোডাক্টের উপরও বিশেষ জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের ঐতিহ্য ও সাহিত্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গেমিং পণ্য তৈরির কথা বলেন নমো। বৈশ্বিক গেমিং মার্কেট ধরে রাখতে শুধু গেম খেলা নয়, গেম তৈরির উপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।

গ্রিন জব ও গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন- জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করতে গ্রিন জবের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, বর্তমানে দেশের অন্যতম লক্ষ্য হল গ্রিন উন্নয়ন ও গ্রিন জব। গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনেও বিশ্বে নিজের জায়গা তৈরি করে নিচ্ছে দেশ। পরিবেশ রক্ষা ও পুনর্নবিকরণ শক্তির ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

স্বচ্ছ ভারত মিশন- প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে দেশকে স্বচ্ছ ভারতের পথে এগিয়ে চলতে হবে।

রাজ্যস্তরে বিনিয়োগ প্রতিযোগিতা- রাজ্যে বিনিয়োগ আনতে প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারকে স্বচ্ছ নীতি তৈরির পরামর্শ দেন। সুশাসন ও রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপরেও জোর দেন নমো।

জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যমাত্রা- প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াট পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন করাই দেশের লক্ষ্য। তিনি জানান, জি২০ দেশগুলির মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ যারা প্যারিস চুক্তি অনুসরণ করে চলে।

চিকিৎসা শিক্ষার বিস্তার- দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও শিক্ষাকে আরও উন্নত করতে আগামী ৫ বছরের মধ্যে মেডিক্যাল শিক্ষায় ৭৫০০০ আসন বাড়ানো হবে বলেই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজনীতিতে নতুন মুখ- যুব প্রজন্মকে রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ১ লাখ যুবকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে বলেন তিনি, বিশেষ করে যাদের পরিবারে রাজনীতির অভিজ্ঞতা নেই। রাজনীতি থেকে পরিবারতন্ত্র ও শ্রেণি বিভাজন দূর করতেই এই উদ্য়োগের কথা বলেন মোদী।