Maldah: সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রধানের বিরুদ্ধে, বিডিও-র কাছে অভিযোগ
Maldah: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর রামপুর গ্রামে হরিজন পাড়ায় রাঁধা গোবিন্দ মন্দির চত্বরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল থেকে ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মার্ক টু টিউবওয়েল বসানোর কথা। অভিযোগ,পঞ্চায়েত প্রধান টিউবওয়েল না বসিয়ে প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে।
মালদহ: কাজ না করেই সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রধানের বিরুদ্ধে। কথা ছিল টিউবওয়েল বসানোর। কিন্তু তা না করেই সব টাকাই আত্মসাতের অভিযোগ। প্রধানের বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের।
বাম কংগ্রেস জোট পরিচালিত এভি পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর গ্রামের গ্রামবাসীরা। যদিও প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সামিমা পারভিনের স্বামী মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তদন্তের দাবি তুলে বুধবার বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর রামপুর গ্রামে হরিজন পাড়ায় রাঁধা গোবিন্দ মন্দির চত্বরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল থেকে ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মার্ক টু টিউবওয়েল বসানোর কথা। অভিযোগ,পঞ্চায়েত প্রধান টিউবওয়েল না বসিয়ে প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে। এই কথা জানতে পেরে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডলের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অভিযোগকারী বলেন, “আমরা হরিজন পাড়ায় ৪০ টি পরিবার বসবাস করি। পাড়ায় কোনও সাব মার্সিবল পাম্প নেই। মন্দির চত্বরে একটি মার্ক টু টিউবওয়েল বসানোর দাবি করেছিলাম প্রধানের কাছে। প্রধান এসে পরিদর্শন করে যান।” তিনি জানান, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল থেকে টিউবওয়েল শিঘ্রই বসানো হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন প্রধান।
অভিযোগ, পরে জানতে পারা যায়, প্রকল্পের কাজ না করে গত ৪ সেপ্টেম্বর ৫০,১২৪ টাকা তুলে নিয়েছেন। প্রধানকে বললে কোনও কর্ণপাতও করছেন না। গোটা বিষয়টি জানিয়ে বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীরা।
প্রধানের স্বামী মহম্মদ আজহারউদ্দিন বলেন, “পাড়ার লোকেরা মন্দিরের পাশে রাস্তা করতে দেয়নি। মন্দির চত্বরে একটি নলকূপ রয়েছে। তবে সেটি অকেজো হয়ে রয়েছে। মন্দির চত্বরে টিউবওয়েল বসানো নিয়ে তাঁদের মধ্যে আপত্তি ছিল।তাই প্রকল্পটি ৩০০ মিটার দূরে মুচি পাড়ায় বসানো হয়েছে। রীতিমতো জিও ট্যাগিং করে তবে বিল পাস হয়েছে। এখানে বিরোধীরা রাজনৈতিক চক্রান্ত করে প্রধানের নাম বদনাম করার চেষ্টা করছে।”