
ঢাকা: ঢাকায় বিজিবির মুখোমুখি হবে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২৫ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই চার দিনব্যাপী বৈঠক। সেখানে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বিএসএফ প্রধান। বাংলাদেশের তরফে থাকবেন বিজিবি প্রধানও। কিন্তু হঠাৎ করেই এই বৈঠকের কারণ কি?
ইউনূসের অন্তবর্তী সরকার বাংলাদেশের শাসনভার নেওয়ার পর থেকে কূটনৈতিক স্তরে বদলেছে সমীকরণ। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ভারত পেরিয়ে চিন-পাকিস্তানকেই বেশি মান্যতা দিয়েছে বাংলাদেশের ‘কেয়ারটেকার’ সরকার। আর সেই আবহেই মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন বিএসএফ-বিজিবি কর্তারা। তবে এটা প্রথম নয়। স্বাভাবিক নিয়মেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এর আগেও গত ফেব্রুয়ারি মাসে নয়াদিল্লিতে বিএসএফ-বিজিবি ডিরেক্টর জেনারেল পর্যায়ের একই রকম বৈঠক বসেছিল।
এদিন বিজিবি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, মূলত পুশ-ইন, অনুপ্রবেশকারী, সীমান্তে নাশকতার মতো ঘটনাগুলি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী তারা। পাশাপাশি, দুই দেশের সীমানা ১৩০ মিটারের মধ্যে যে কোনও রকম উন্নয়নপ্রকল্প সাধনেও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে আশাবাদী তারা।
অন্যদিকে বিএসএফ জানিয়েছে, তাদের বৈঠক অভিসন্ধীও প্রায় একই রকম। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ সীমান্তে যেভাবে অনুপ্রবেশ বেড়েছে, সেই নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা করতে চলছে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা। পাশাপাশি, সীমান্ত নাশকতা, পাচার চক্র ও উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা করতে পারেন ভারতীয় সীমান্ত প্রতিনিধিরা।