AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tejashwi Yadav on Waqf Act: ‘ক্ষমতায় আসলে ওয়াকফ আইন ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেব’, তেজস্বীর দাবিতে শোরগোল-বিতর্ক

Bihar Assembly Election 2025: জেডিইউ-কে আক্রমণ করে বলেন, "রাজ্যের মানুষ ২০ বছর ধরে নীতীশ কুমার সরকারের উপরে বিরক্ত। নীতীশ কুমার স্থির জল হয়ে গিয়েছেন, যা আর প্রবাহিত হচ্ছে না। এবার ডুবছেন। তাই এনডিএ সরকারকে ছুড়ে ফেলা দরকার। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশ নেই। চারিদিকে দুর্নীতি হচ্ছে।"

Tejashwi Yadav on Waqf Act: 'ক্ষমতায় আসলে ওয়াকফ আইন ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেব', তেজস্বীর দাবিতে শোরগোল-বিতর্ক
আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।Image Credit: PTI
| Updated on: Oct 27, 2025 | 7:32 AM
Share

পটনা: বিহারে নির্বাচন আর কয়েকদিন পরই। ভোট প্রচারের শেষ ধাপ চলছে। আর সেই প্রচারে বেরিয়েই বিরাট দাবি বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav)। লালু পুত্র বললেন যে বিহারে যদি ভোট দিয়ে ইন্ডিয়া জোট (India Bloc)-কে ক্ষমতায় আনা হয়, তাহলে ওয়াকফ সংশোধনী আইন ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে।  

কাটিহার, কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া- রবিবার একের পর এক জেলায় নির্বাচনী প্রচার করছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। বিহারের এই জেলাগুলি মুসলিম অধ্যুষিত। সংখ্যালঘু ভোটারদের টানতে তেজস্বী বলেন, “আমার বাবা, লালু প্রসাদ যাদব কখনও সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করেনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সবসময় এদের সমর্থন করেছে। ওঁর জন্যই আরএসএস ও তাদের শাখা সংগঠনগুলি রাজ্য ও দেশজুড়ে হিংসা-ঘৃণা ছড়াচ্ছে। বিজেপিকে ভারত জ্বালাও পার্টি বলা উচিত। যদি ইন্ডিয়া জোট এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসে, তাহলে আমরা ওয়াকফ আইনকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দেব।”

আরজেডির আরেক নেতা মহম্মদ কারি সোয়েবও বিতর্ক বাড়িয়ে বলেন তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী হলে, ওয়াকফ আইন সহ সমস্ত বিল ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই সংসদের দুই কক্ষে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস হয়ে আইনে পরিণত হয়। বিজেপি ও এনডিএ এই আইনকে স্বচ্ছতা আনার এক পদক্ষেপ এবং পিছিয়ে পড়া মুসলিম ও মহিলা মুসলিমদের ক্ষমতায়নের সুযোগ বলেই উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে বিরোধীরা সুর চড়িয়েছে এই দাবি করে যে ওয়াকফ আইনে সংশোধন এনে মুসলিমদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।

এদিকে, শাসক দল, প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী। জন সূরজ পার্টির প্রশান্ত কিশোরের নাম না নিয়েই আক্রমণ করে তেজস্বী বলেন, “কিছু মানুষ জোর করে প্রার্থী দিয়ে ভোট ভাগ করার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষের এই প্রার্থীদের গুরুত্ব দেওয়ার কোনও কারণ নেই।”

জেডিইউ-কে আক্রমণ করে বলেন, “রাজ্যের মানুষ ২০ বছর ধরে নীতীশ কুমার সরকারের উপরে বিরক্ত। নীতীশ কুমার স্থির জল হয়ে গিয়েছেন, যা আর প্রবাহিত হচ্ছে না। এবার ডুবছেন। তাই এনডিএ সরকারকে ছুড়ে ফেলা দরকার। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশ নেই। চারিদিকে দুর্নীতি হচ্ছে। সরকারি প্রতিটি বিভাগে দুর্নীতি হচ্ছে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।”

নীতীশ কুমার ২০ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী এবং নরেন্দ্র মোদী ১১ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বিহার গরিব ও পিছিয়ে পড়া রাজ্য হিসাবেই রয়ে গিয়েছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেন তেজস্বী। তিনি বলেন যে এনডিএ তাঁর ভোট প্রতিশ্রুতিগুলির অনুকরণ করছে। বলেন, “আমরা প্রবীণ নাগরিকদের পেনশন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলাম, নীতীশ কুমার সরকার সঙ্গে সঙ্গে পেনশন ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করে দিল। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে এই পেনশন বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করে দেব।”