
নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন: ২৩ বছর আগের কয়েকটা ছবি। হাতে হাতকড়া। মাথা ঝুঁকিয়ে বসে এক যুবক। তাঁর মাথায় বন্দুক ধরে একজন। ২৩ বছরের আগের সেই ছবিগুলো আবার সামনে এল। এবার তাঁর খুনে জড়িত জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম মাথাকে ভারত নিকেশ করার পর। জইশ-ই-মহম্মদের অন্যতম মাথা আব্দুল রউফ আজহারকে ভারত নিকেশ করার পর মার্কিন-ইহুদি সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লের ২৩ বছর আগের জঙ্গিদের হাতে বন্দি থাকাকালীন ছবিগুলি আবার সামনে এনেছেন আমেরিকার সমাজকর্মী অ্যামি মেকেলবার্গ।
২০০২ সালে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল পাকিস্তানে গিয়েছিলেন সংবাদ সংগ্রহে। সেইসময় বাড়িতে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা। ড্যানিয়েলকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। শিরশ্ছেদ করে খুন করে। জঙ্গিরা সেইসময় ড্যানিয়েলের কয়েকটি ছবি ছেড়েছিল। সেগুলি এদিন এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন অ্যামি মেকেলবার্গ।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাব দিয়ে বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। ভারতের এই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ জইশ-ই-মহম্মদের হেডকোয়ার্টার গুঁড়িয়ে যায়। সেখানেই ছিল আব্দুল রউফ আজহার। মৃত্যু হয় তার। জইশের অন্যতম মাথা ছিল রউফ আজহার ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান অপহরণের মাস্টারমাইন্ডও সে।
ভারত জইশের এই অন্যতম মাথাকে খতম করার পর এক্স হ্যান্ডলে অ্যামি লিখেছেন, “পার্লকে অপহরণ, অত্যাচার ও শিরশ্ছেদ করে হত্যার পিছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিল রউফ আজহার। তাকে খতম করে পার্লের হত্যার ন্যায় পাইয়ে দিল ভারত। বছরের পর পর, পাকিস্তানের সন্ত্রাসকে সহ্য করেছে পশ্চিমী দেশগুলি। সাধারণ মানুষ মূল্য চুকিয়েছেন। যা করার দরকার ছিল, শেষপর্যন্ত ভারত তা করল।”
তিনি আরও লেখেন, “আব্দুল রউফ আজহার শুধু সন্ত্রাসবাদী ছিল না। জইশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের ভাই ছিল।” অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানান তিনি।