Supreme Court: ‘ভারত কোনও ধর্মশালা নয়, যে বিশ্বের সমস্ত উদ্বাস্তুদের জায়গা দেবে…’, বড় পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের

Supreme Court: কোন সূত্রে এত দিন ধরে ভারতে ছিলেন ওই শ্রীলঙ্কার নাগরিক? আদালত তরফে জানা গিয়েছে, ভারতে এসে UAPA বা রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে নাম জড়িয়ে পড়ে ওই শ্রীলঙ্কার নাগরিকের। তিনি ওই দ্বীপরাষ্ট্রের তামিল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

Supreme Court: ভারত কোনও ধর্মশালা নয়, যে বিশ্বের সমস্ত উদ্বাস্তুদের জায়গা দেবে..., বড় পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের
সুপ্রিম কোর্টImage Credit source: Getty Image

|

May 19, 2025 | 4:47 PM

নয়াদিল্লি: ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শ্রীলঙ্কার এক নাগরিকের আবেদন শুনানিপর্বে ঠিক এমনটাই বলল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিনোদ চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন নিজের অভিবাসনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। আবেদন জানিয়েছিলেন, তাকে যেন ভারতেই থাকতে দেওয়া হয়। কিন্তু পড়শি দেশের বাসিন্দার সেই আর্জি খারিজ করে আদালত।

কোন সূত্রে এত দিন ধরে ভারতে ছিলেন ওই শ্রীলঙ্কার নাগরিক? আদালত তরফে জানা গিয়েছে, ভারতে এসে UAPA বা রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে নাম জড়িয়ে পড়ে ওই শ্রীলঙ্কার নাগরিকের। তিনি ওই দ্বীপরাষ্ট্রের তামিল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। প্রায় এক দশক আগে মাদ্রাস হাইকোর্টে তাকে সাত বছরের সাজা শোনায় আদালত। সেই সাজা শেষ হলে, তাকে পুনরায় যেন দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি।

তবে এদিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানিপর্বে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের আইনজীবী জানিয়েছেন, তার মক্কেলকে সাজা শেষ হওয়ার পরেও গত তিন বছর ধরে নির্বাসনে রেখে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, কোনও তাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তার আইনজীবীর আরও দাবি, তার মক্কেলকে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হলে তার প্রাণের ঝুঁকি হতে পারে।

কিন্তু এত যুক্তি শোনার পরেও, নিজের জায়গাতেই অনড় থাকে আদালত। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত প্রশ্ন করেন, ‘আপনার এখানে থাকা অধিকারটাই বা কী?’ তখন শ্রীলঙ্কার নাগরিকের আইনজীবী বলেন, ‘তার মক্কেল এক শরণার্থী। সেই সূত্র ধরেই সে তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে এখানে রয়েছে।’ এরপরই সেই আবেদন খারিজ করে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ভারত কি বিশ্বের সকল শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া জন্য বসে রয়েছে? আমরা ইতিমধ্যেই অত্যাধিক জনসংখ্যার কারণে ভুগছি। এটা কোনও ধর্মশালা নয়। যে বিশ্বের সমস্ত উদ্বাস্তুরা এখানে এসে আশ্রয় নেবে না।’