
নয়াদিল্লি: ইসরোর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। তৈরি করেছে ১০টা সংখ্যার একটা পিন। কিন্তু এই পিন কী কাজে লাগবে? তারা জানিয়েছে, আর আগের মতো বাড়ির ঠিকানার সঙ্গে ছয় সংখ্যার কোনও নম্বর জুড়বে না। ডেলিভারিকে আরও উন্নত করবে তাঁদের নতুন সৃষ্টি। যা পিন নয়, ডিজিটাল ছোঁয়া পেয়ে হয়েছে ডিজিপিন। তৈরি করেছে ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার। সহযোগিতা করেছে আইআইটি হায়দরাবাদ।
এলাকার পিন কোড বলতেই ছয় সংখ্যার একটি নম্বর। আর তাতেই এবার বদল ঘটিয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। পিন কোডের সঙ্গেই তাঁরা জুড়ে দিয়েছে ১০ সংখ্যার একটি ‘ডিজিপিন’। যার দ্বারা প্রদত্ত ঠিকানা হবে আরও সঠিক।
সাধারণ ভাবে পুরনোর ছয় সংখ্য়ার পিন কোডগুলি কোন নির্দিষ্ট এলাকার একটি বড় অংশকে চিহ্নিত করে থাকে। কিন্তু ডিজিপিন হবে একেবারে নিপুণ। যেটা তৈরি হয়েছে শুধুই সংখ্য়া নয়, বরং আলফানিউম্যারিক চরিত্র নিয়ে। অর্থাৎ থাকবে সংখ্যা, থাকবে আলফাবেটও। আর ডাক সেবকের কাছে তুলে ধরবে একেবারে সঠিক ঠিকানাটা।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে এই নতুন ‘ডিজিপিন’ প্রসঙ্গে ভারতীয় ডাক বিভাগের ডেপুটি ডিজি বিকাশ দক্ষ জানিয়েছেন, ‘১৯৭২ সালে এই ছয় সংখ্যার পিনকোড চালু হয়েছিল। এই পিনকোড ধরেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যেতেন ডাক সেবকরা। কিন্তু বর্তমানে একটি ঠিকানায় পৌঁছতে আমাদের বিভিন্ন জিপিএস মাধ্য়ম ব্যবহার করতে হয়। যে কারণে এই নতুন ডিজিপিন তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্য়মে দেশের প্রতিটি ঠিকানাকে পরিণত করা হয়েছে একটি ১০ সংখ্যার আলফানিউম্যারিক নম্বরে।’