
নয়াদিল্লি: শেখ হাসিনা থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, বিদেশমন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে উঠে এল প্রতিটি প্রসঙ্গ। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। স্বাভাবিক নানা প্রশ্ন ঘিরে ধরে তাঁকে। কখনও ইউনূসের মন্তব্য, কখনও বা ট্রাম্পের শুল্ক, সব নিয়ে কী বার্তা ভারতের?
ট্রাম্পের সুরেই গাইছে ন্য়াটো। বৃহস্পতিবার ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুট বলেন যে ভারতের উপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাপানো শুল্কের প্রভাব রাশিয়ার উপরে পড়েছে। নয়াদিল্লি ও মস্কো একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এমনকি, মোদী ঘন ঘন পুতিনকে ফোন করছেন বলেও দাবি করেন মার্ক।
তবে বিদেশমন্ত্রকের দাবি, এই সব কথা বার্তা একেবারে ভিত্তিহীন। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এই রকম কোনও কথাই হয়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
ওষুধের উপরেও শুল্কের খাঁড়া চাপিয়েছেন ট্রাম্প। পয়লা অক্টোবর থেকে যে কোনও ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ট নেওয়া ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য়ের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর একটাই শর্ত, ওষুধ তৈরির সংস্থাগুলিকে আমেরিকা ফিরতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ভারতের উপর রীতিমতো প্রভাব পড়বে। মার খাবে ব্যবসা। এদিন বিদেশমন্ত্রক তরফে জানান হয়েছে, ‘ট্রাম্পের এই নতুন ঘোষণা সম্পর্কে নয়াদিল্লি অবগত। নির্দিষ্ট মন্ত্রকগুলি গোটা বিষয়টির উপর নজরদারি চালাচ্ছে।’
সম্প্রতি এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সেখানেই তিনি বলেন, ভারত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, যিনি সব সমস্যা তৈরি করেছেন। তরুণদের হত্যা করেছেন। তাঁর আরও দাবি, ‘হাসিনার কারণেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি করেছে।’
তবে ইউনূসের এই সকল অভিযোগ নিয়ে বিশেষ মুখ খোলেনি বিদেশমন্ত্রক। মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিয়ে আমরা আগেও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। তাই সেই নিয়ে নতুন করে আর আমরা কোনও আলোচনায় যেতে চাই না।’