India’s population: ভারতের জনসংখ্যা এখন কত? চিন্তা কোথায়? কী বলছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট…

India's population: মহিলা প্রতি প্রজনন হার কমলেও ভারতে যুব জনসংখ্যার হার উল্লেখযোগ্য। ভারতে মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশ শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সী। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী জনসংখ্যা ১৭ শতাংশ। আর মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী।

Indias population: ভারতের জনসংখ্যা এখন কত? চিন্তা কোথায়? কী বলছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট...
জনগণনা শুরুর দিন ঘোষণা করল কেন্দ্রImage Credit source: TV9 Network

Jun 10, 2025 | 2:34 PM

নয়াদিল্লি: জনসংখ্যায় চিনকে টপকে বিশ্বে এখন প্রথম স্থানে ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬৩.৯ মিলিয়ন। অর্থাৎ ১৪৬ কোটির বেশি। কিন্তু, উদ্বেগ অন্য জায়গায়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওই রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রজনন হার প্রতিস্থাপন হারের চেয়ে কম। প্রতিস্থাপন হারের চেয়ে প্রজনন হার কম হলে একসময় দেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহিলা প্রতি প্রজনন হার কমে হয়েছে ১.৯। অর্থাৎ মহিলা প্রতি সন্তান প্রসবের হার ১.৯। যেখানে প্রতিস্থাপনের হার হওয়া উচিত ২.১। এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের জনসংখ্যার আকার ঠিক রাখার জন্য মহিলাদের যতগুলি সন্তান জন্ম দেওয়া দরকার, তার চেয়ে কম সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন তাঁরা।

তবে আশার কথা, এই মুহূর্তে মহিলা প্রতি প্রজনন হার কমলেও ভারতে যুব জনসংখ্যার হার উল্লেখযোগ্য। ভারতে মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশ শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সী। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী জনসংখ্যা ১৭ শতাংশ। আর মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী।

দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম। এই মুহূর্তে দেশে প্রবীণ মানুষের সংখ্যা ৭ শতাংশ। এবং আগামী দশকগুলিতে এই সংখ্যা বাড়বে। এই মুহূর্তে পুরুষদের গড় আয়ুষ্কাল ৭১ বছর। আর মহিলাদের আয়ুষ্কাল ৭৪ বছর। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা আরও ৪০ বছর বাড়তে থাকবে। তা ১.৭ বিলিয়ন স্পর্শ করবে। তারপরই সেই জনসংখ্যা ক্রমশ কমবে। এর কারণ প্রতিস্থাপন হারের চেয়ে প্রজনন হার কম হওয়া।

১৯৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪৩৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৪৩ কোটি ৬০ লক্ষ। তখন মহিলা প্রতি গড়ে ৬ সন্তান হত। মহিলাদের শিক্ষার হার কম ছিল। গড়ে ২ জনের মধ্যে একজনেরও কম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতেন। ৪ জনের মধ্যে একজনেরও কম গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতেন। এখন মহিলাদের গড়ে ২টির কম সন্তান রয়েছে। এর জন্য মহিলাদের শিক্ষার হার বাড়াকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা তহবিলে ভারতের প্রতিনিধি আন্দ্রেয়া এম উজনার। তিনি বলেন, মহিলারা এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারছেন।