হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ! মেঘালয়ের খাদে পাওয়া গিয়েছিল স্বামীর দেহ, এতদিনে খোঁজ মিলল স্ত্রীর, তবে গল্পের মোড় অন্য জায়গায়…
Crime: বিয়ের পর গত ২২ মে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে হানিমুনে গিয়েছিল রাজা ও সোনম। ২৩ মে নিখোঁজ হয়ে যায় দুইজনই। ১০ দিন তল্লাশির পর, গত ২ জুন মেঘালয়ের উইসাডং পার্কিং লটের নীচে খাদ থেকে রাজা রঘুবংশীর পচাগলা, ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।

শিলং: ইন্দোরে বিয়ে, এক সপ্তাহ পরে মেঘালয় গিয়েছিল হানিমুনে। আর সেখান থেকেই নিখোঁজ দম্পতি। দিন কয়েক পরে উদ্ধার হয় স্বামীর ক্ষত-বিক্ষত দেহ। তন্নতন্ন করে খুঁজেও খোঁজ মিলছিল না স্ত্রীর। কোথায় উধাও হয়ে গেলেন যুবতী, কে-ই বা তাঁর স্বামীকে খুন করল, তা নিয়ে পরতে পরতে রহস্য বাড়ছিল। অবশেষে সেই রহস্যের উদঘাটন হল। মেঘালয় থেকেই খোঁজ মিলল সদ্য বিবাহিতা যুবতীর। তবে গল্পের টুইস্ট রয়েছে অন্য জায়গায়।
মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল দম্পতি। অবশেষে সেই যুবতীর খোঁজ মিলল উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে। স্বামীকে খুন করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। তাঁর সঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোনম রঘুবংশী নামক ইন্দোরের যুবতীই তাঁর বাড়িতে ফোন করে এবং পুলিশে খবর দিতে বলে। এরপর ইন্দোর পুলিশ গাজিপুর পুলিশকে ফোন করে। গাজিপুর পুলিশই যুবতীকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, মেঘালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ জানিয়েছেন, স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সোনমই। খুন করার জন্য মধ্য প্রদেশেরই চারজন কনট্রাক্ট কিলারকে ভাড়া করেছিল। পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। একজন এখনও পলাতক।
বিয়ের পর গত ২২ মে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে হানিমুনে গিয়েছিল রাজা ও সোনম। ২৩ মে নিখোঁজ হয়ে যায় দুইজনই। ১০ দিন তল্লাশির পর, গত ২ জুন মেঘালয়ের উইসাডং পার্কিং লটের নীচে খাদ থেকে রাজা রঘুবংশীর পচাগলা, ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পাশ থেকে একটি কাটারিও উদ্ধার হয়।
সোনমের খোঁজ না মেলায় তল্লাশি জারি ছিল। পরে গতকাল উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে তাঁর খোঁজ মেলে। রাতে মধ্য প্রদেশে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই তিনজন সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করে। পুলিশ অভিযুক্তদের জেরা করছে।

