Tahawwur Rana: দিনে ৮-১০ ঘণ্টা জেরা! ফাঁক পেলেই NIA-র ‘কুঠুরিতে’ তিনটি জিনিস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে রানা
নয়াদিল্লি: NIA দফতরের সেলেই দিন কাটাচ্ছেন তাহাউর রানা। আদালতে ওঠার আগে পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হবে তাকে। সঙ্গে চলবে দুই বেলা জেরা পর্ব। জানা গিয়েছে, সারাদিনে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা রানাকে জেরা করছে NIA। ইতিমধ্যে জেরায় একাধিক নতুন তথ্যও হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এমনকি, তাহাউরের মাধ্যমেই দাউদেরও সন্ধান চালাচ্ছেন তারা। তবে দুই বেলা জেরা তো চলছেই, […]

নয়াদিল্লি: NIA দফতরের সেলেই দিন কাটাচ্ছেন তাহাউর রানা। আদালতে ওঠার আগে পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হবে তাকে। সঙ্গে চলবে দুই বেলা জেরা পর্ব। জানা গিয়েছে, সারাদিনে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা রানাকে জেরা করছে NIA। ইতিমধ্যে জেরায় একাধিক নতুন তথ্যও হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এমনকি, তাহাউরের মাধ্যমেই দাউদেরও সন্ধান চালাচ্ছেন তারা। তবে দুই বেলা জেরা তো চলছেই, কিন্তু ফাঁকা সময়ে কী কী করছেন এই পাক বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী?
NIA সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার পাশাপাশি মাঝে মধ্যে চিকিৎসকরা এসে দেখে যাচ্ছেন তাকে। আমেরিকাতে থাকাকালীনও নানাবিধ রোগের অছিলায় নিজের প্রত্যাপর্ণকে এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন মুম্বই হামলার মূল চক্রী। তাই ক্ষণে ক্ষণেই তার উপর নজর রাখছেন চিকিৎসকরা।
এছাড়াও, NIA আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় মোড়া সেলে রানার সঙ্গী হয়েছে কাগজ, কলম ও কোরান। জেরাপর্ব থেকে যে টুকু সময় রেহাই পাচ্ছেন রানা। সেই সময়টা তিনি মূলত কাটিয়ে দিচ্ছেন এই তিনটি জিনিস নিয়ে। রীতিনীতি মেনে দিনে পাঁচবার নমাজও পড়ছেন। তবে অন্য সকল হাই-প্রোফাইল কয়েদিদের মতো রানার জন্য কিন্তু বিশেষ কোনও খাবারের তালিকা তৈরি করতে হয়নি NIA-কে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকিরা যা খাচ্ছেন, রানাও সন্তুষ্ট হয়ে তাই খেয়ে নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, রানার বিরুদ্ধে তদন্তের মূল দায়িত্ব কিন্তু রয়েছে এক বঙ্গতনয়ার কাঁধে। নাম জয়া রায়। তিনি ২০১১ ব্য়াচের IPS অফিসার। জন্মেছিলেন বাংলার মাটিতে। তারপর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম যোগ দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ড পুলিশে। এবার সেই দাপুটে অফিসারের কাছে ‘সব ফাঁস’ করতে হচ্ছে রানাকে।





