
ভুবনেশ্বর: দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের ঘটনায় মুখ খুললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। গোটা ঘটনায় মর্মাহত তিনি। সেই কথাই লিখলেন নিজের সমাজমাধ্যমে। পাশাপাশি, রাজ্য় সরকারের সঙ্গে ওড়িশার আধিকারিকদের যোগাযোগ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
ପଶ୍ଚିମବଙ୍ଗର ଦୁର୍ଗାପୁରଠାରେ ଜଣେ ଓଡ଼ିଆ ଛାତ୍ରୀଙ୍କ ସହ ଘଟିଥିବା ଦୁର୍ଭାଗ୍ୟଜନକ ଗଣଦୁଷ୍କର୍ମ ଘଟଣା ଅତ୍ୟନ୍ତ ନିନ୍ଦନୀୟ ଓ ପୀଡ଼ାଦାୟକ। ଏହି ଖବର ଶୁଣି ମୁଁ ଗଭୀର ଭାବେ ମର୍ମାହତ।
ଏହି ସମ୍ବେଦନଶୀଳ ଘଟଣାରେ, ଅଭିଯୁକ୍ତମାନଙ୍କ ବିରୁଦ୍ଧରେ ଆଇନ ଅନୁଯାୟୀ ଦୃଷ୍ଟାନ୍ତମୂଳକ କାର୍ଯ୍ୟାନୁଷ୍ଠାନ ନେବା ପାଇଁ ମୁଁ ପଶ୍ଚିମବଙ୍ଗର ମାନ୍ୟବର…— Mohan Charan Majhi (@MohanMOdisha) October 11, 2025
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে বিজেপি শাসিত রাজ্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘ওড়িশার মেয়ের দুর্গাপুরে গিয়ে এমন মর্মান্তিক পরিণতি কোনও ভাবেই মেনে নেওয়ার মতো ঘটনা নয়। আমি নিজেও এই ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। খবরটা শুনেই খুব বিচলিত হয়ে গিয়েছিলাম। আপাতত সে রাজ্যের সরকার ও মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে আমার একটাই আর্জি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন।’
উল্লেখ্য়, ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় পড়তে এসে ‘গণধর্ষণের’ শিকার এক ডাক্তারি পড়ুয়া। ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা। এখানে পড়াশোনা করছিলেন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্য়াল কলেজে। বিপত্তি ঘটে গতকাল। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের এক বন্ধুর সঙ্গে ফুচকা খেতে বেরিয়েছিলেন ওই পড়ুয়া। কিন্তু মাঝরাস্তায় তাঁদের উত্যক্ত করতে শুরু করে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী, এমনটাই অভিযোগ। তাড়া করে পডু়য়ার সঙ্গে থাকা ওই সহপাঠীকে। ভয়ে বান্ধবীকে ফাঁকা রাস্তায় ফেলে রেখেই চলে যায় সে। আর সেই সুযোগেই চলে অকথ্য অত্যাচার। ডাক্তারি পড়ুয়াকে টেনেহিঁচড়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর গণধর্ষণ। কেড়ে নেয় নির্যাতিতার মোবাইলও। বর্তমানে দুর্গাপুরেরই একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই পড়ুয়া।
শনিবার ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় বাংলার সরকারের সঙ্গে ওড়িশার প্রশাসনিক আধিকারিকদের যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন সে রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেই কথা জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘নির্যাতিতার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আমি বাংলার সরকারের সঙ্গে আমাদের আধিকারিকদের যোগাযোগ করতে বলেছি। সেই ভিত্তিতেই তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। আর নির্যাতিতার পরিবারকেও সমস্ত রকম ভাবে সহযোগিতা করবে প্রশাসন।’ অবশ্য, ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য় ইঙ্গিতপূর্ণ। দুর্গাপুরের ঘটনার তদন্তের জন্য বাংলায় ওড়িশা পুলিশ আসতে পারে বলেই মনে করছে তাঁরা।