
নয়াদিল্লি: ভারতে আসছে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবা। মোদীর আমেরিকা সফরের পর থেকেই স্টারলিঙ্ক নিয়ে বেড়েছিল জল্পনা। সম্ভবনা ছিল খুব শীঘ্রই হয়তো ভারতের বাজারে প্রবেশ করবে তারা। সম্প্রতি আবার বাংলাদেশকেও স্টারলিঙ্ক পরিষেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্পেসএক্স-এর কর্তা ইলন মাস্ক।
এই অবস্থায় ভারত কি পিছিয়ে থাকতে পারে? একদমই নয়। জানা গিয়েছে, টেলিকম সংস্থা ‘এয়ারটেল’ ও রিলায়েন্স ‘জিও’-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের বাজারে আত্মপ্রকাশ করবে স্টারলিঙ্ক। সূত্রের খবর, স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে ভারত সরকারের অন্দরে উৎফুল্ল আবহ তৈরি হলেও, একটা চাপা চিন্তা এখনও রয়েছে।
সাধারণভাবে, স্টারলিঙ্ক পরিষেবা সরাসরি কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। এমনকি, এর আগেও একবার ভারতে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা শুরুর তোড়জোড় করেও জাতীয় নিরাপত্তার ‘খাঁড়া’র জেরে পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল ইলন মাস্ককে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র একটি প্রতিবেদন সূত্রে খবর, এবার যাতে তীরে এসে তরী না ডোবে, তাই আগেভাগেই মার্কিন সংস্থাকে স্টারলিঙ্কের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। এই কেন্দ্র থেকে গোটা দেশে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নজরদারি চালাবে সরকার পক্ষ। কোনও ভাবে যাতে জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে না পড়ে সেই বিষয়টিকেও নজর রাখা হবে।
উল্লেখ্য, ভারতের বাজার স্টারলিঙ্কের আগমন ঘটলে ইন্টারনেটের স্পিড যে দ্বিগুণ হবে এই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। তবে দাম কি কমতে পারে নেট রিচার্জের? বর্তমানে এয়ারটেল কিংবা জিও ফাইবার মাসে ৫০০ টাকায় ওয়াইফাই পরিষেবা দিয়ে থাকে। সেখানে আমেরিকায় প্রতিমাসে স্টারলিঙ্কের খরচ প্রায় ১২০ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ১০ হাজার টাকার কাছাকাছি। সুতরাং, এ দেশে স্টারলিঙ্ক এলে যে দাম বাড়বে বইকি কমবে না, এটা কার্যত স্পষ্ট।