
নয়াদিল্লি: আর্থিক লেনদেনে যুক্ত সমস্ত ধরনের অনলাইন গেমিং নিষিদ্ধ করতে বিল পাশ করেছে কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতি তাতে অনুমোদনও দিয়েছেন। ই-স্পোর্টসকে উৎসাহ দিতেই এই আইন আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ই-স্পোর্টস ও সোশ্যাল গেমস নিয়েই সোমবার কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করলেন অনলাইন গেমিং ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ই-স্পোর্টসের প্রচারে জোর দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্যবহারকারীর অর্থ সুরক্ষিত রাখার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। একইসঙ্গে অনলাইন গেমিং ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা জানান, দেশের আইনকে মান্যতা দিয়েই ই-স্পোর্টসে জোর দেওয়া হচ্ছে।
আর্থিক লেনদেনে যুক্ত অনলাইন গেমিং নিষিদ্ধ করতে সংসদের বাদল অধিবেশনে ‘দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’ নামের ওই বিল পাশ করে কেন্দ্র। গত ২২ অগস্ট সেই বিলে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আর্থিক লেনদেনে যুক্ত অনলাইন গেমিংয়ের বিজ্ঞাপন, আর্থিক লেনদেন রুখতে এই আইন আনা হয়েছে। একইসঙ্গে ই-স্পোর্টস ও অনলাইন সোশ্যাল গেমসকে উৎসাহ দিতেই এই আইন বলে জানা গিয়েছে। ই-স্পোর্টসের প্রচার ও তাদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য। নতুন এই আইন ই-স্পোর্টসকে আইনি সহায়তা দেবে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ই-স্পোর্টসের জন্য কোনও আইনি সহায়তা ছিল না। ই-স্পোর্টস যাতে ভারতীয় খেলাধূলার জগতে স্থান করে নিতে পারে, তার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক একটা পরিকাঠামো তৈরি করছে। সরকার অনলাইন সোশ্যাল গেমসকেও উৎসাহ দিতে চাইছে। কেন্দ্রের মতে, ই-স্পোর্টস ও অনলাইন সোশ্যাল গেমসে মানুষ উৎসাহিত হলে আর্থিক লেনদেনে যুক্ত অনলাইন গেমিংয়ে মানুষের উৎসাহ কমবে। আর্থিক লেনদেনে যুক্ত অনলাইন গেমিংয়ে আর্থিক ক্ষতির ফলে অনেকে চরম পদক্ষেপও করে। সেইসব বন্ধ হবে বলে সরকারের আশা।
এর আগে এই আইন নিয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছিলেন, “অনলাইন গেমিংয়ের ভাল দিকটিকে উৎসাহ দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। ভারতকে গেম-মেকিং হাব হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি তৈরি করেছি। সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, অনলাইন গেমিংয়ের এই দিককে আমরা তুলে ধরতে চাই।”