রাঁচি: টাকার পাহাড়ের পর এবার কি সোনার খনি? কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে আর কী কী লুকানো আছে? এটাই প্রশ্ন আয়কর আধিকারিকদের মনে। আর সেই যকের ধনের খোঁজেই এবার বিশেষ যন্ত্র আনল আয়কর আধিকারিকরা। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর (Dheeraj Sahu) বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৫১ কোটি টাকা। রাঁচির (Ranchi) বাড়িতে রাখা আলমারিতে থরে থরে সাজানো ছিল ৫০০ টাকার বান্ডিল। সেই বিপুল টাকা উদ্ধারের পরও অভিযান থামায়নি আয়কর দফতর (Income Tax)। তাদের সন্দেহ, কংগ্রেস সাংসদের বাড়ির নীচে লুকানো রয়েছে গোপন ধন। আর সেই লুকানো সম্পত্তি খুঁজতেই তল্লাশি শুরু।
মঙ্গলবারই দিল্লি থেকে রাঁচিতে আসেন আয়কর দফতরের ৬ শীর্ষ আধিকারিক। রাঁচি বিমানবন্দর থেকে তাঁরা সোজা হাজির হন কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়িতে। এই বাড়িতেই বিগত ৮ দিন ধরে তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর আধিকারিকরা। একইসঙ্গে তল্লাশি চলছে কংগ্রেস সাংসদের পৈত্রিক বাড়িতেও।
আয়কর আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, লোহারদাগার পৈত্রিক বাড়ির নীচে গোপন কুঠুরিতে লুকানো রয়েছে বিপুল ধন সম্পত্তি। মাটির নীচে হয়তো লুকানো রয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনা (Gold)। সেই সোনার খোঁজেই আনা হয়েছে জিও সার্ভিলেন্স মেশিন (Geo Surveillance Machine)। কংগ্রেস সাংসদের বাড়ির লনে ওই মেশিন দিয়ে সোনার খোঁজ করা হচ্ছে। ধীরজ সাহুর বাড়ি চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছে সিআইএসএফ।
প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর প্রথম কংগ্রেসের ঝাড়খণ্ডের সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর বিভাগ। শুরু হয় তল্লাশি। ১০০ কোটি, ২০০ কোটি করে প্রতিদিনই বাড়তে থাকে টাকার অঙ্ক। ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি ওড়িশা ও কলকাতাতেও ধীরজ সাহুর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। টানা তল্লাশি চালিয়ে এখনও অবধি ৩৫১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে ধীরজ সাহুর বাড়ি থেকে। আরও সম্পত্তি উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই লুকানো ধনের খোঁজেই এবার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আনছে আয়কর বিভাগ।