
নয়াদিল্লি: ‘সংসদই শেষকথা’, সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কে ইঙ্গিতে বিজেপি সাংসদের ‘পাশে দাঁড়ালেন’ উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদ্বীপ ধনখড়। মঙ্গলবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর মুখে উঠে এল এই প্রসঙ্গ।
এদিন ধনখড় বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করেন সাংবিধানিক দফতরগুলি অলংকারিক। তাদের উচিত সাংবিধানিক কর্মকর্তা বা দেশের নাগরিকের ভূমিকা নিয়ে ভুল ধারণা না রাখা। আমার মতে, একজন নাগরিকই এই দেশে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারি। কারণ, একটি দেশ ও তার গণতন্ত্র নাগরিক ছাড়া তৈরি করা সম্ভব নয়। দেশের জনগণের দেহেই বাস করে গণতন্ত্রের আত্মা। যা মানুষের মনে তার মূল্যবোধকে ধরে রাখে।’ এরপরই ধনখড়ের সংযোজন, ‘সংবিধানে সংসদের উর্ধ্বে কোনও কর্তৃপক্ষের কল্পনা নেই। সংসদই সর্বোচ্চ।’
সম্প্রতি, তামিলনাড়ুর বিল-বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের পর থেকেই চটেছেন একাংশের রাজনীতিকরা। সেই মামলায় শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়ে একটি বিল সংসদ থেকে পাশ হওয়ার পর তাতে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে সময়সীমা বেঁধে দেয়। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, একটি বিল রাজ্যপালের অনুমোদনের পর সর্বোচ্চ তিন মাস অবধি রাষ্ট্রপতির কাছে থাকতে পারবে। সেই সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে সেই বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এমনকি, দিনকতক আগেই সংশোধিত ওয়াকফ আইনের কিছু অংশে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ চাপালে শীর্ষ আদালতের পদক্ষেপ নিয়ে সুর চড়াতে দেখা যায় বেশ কিছু শাসকগোষ্ঠীর নেতা-মন্ত্রীকে।
এই প্রসঙ্গে সর্বপ্রথম মুখ খোলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘যদি শীর্ষ আদালত আইন তৈরি করতে চায়, তা হলে দেশে সংসদের প্রয়োজন নেই। সংসদ বন্ধ করে দিলেই তো পারে।’