পাকিস্তানের জয়ে উল্লাস করায় দেশদ্রোহের মামলা কাশ্মীরি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে

এই মামলায় জড়িত হিসেবে যাদের চিহ্নিত করা হবে পাশাপাশি এই মামলায় যাদের নাম যুক্ত হবে তারা আগামীদিনে আর কখনও ভারত সরকার এবং জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের কোনও সরকারি পদে চাকরির আবেদন করতে পারবেন না।

পাকিস্তানের জয়ে উল্লাস করায় দেশদ্রোহের মামলা কাশ্মীরি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে
ছবি টুইটারের সৌজন্যে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 26, 2021 | 6:32 PM

রবিবারের টি-২০ বিশ্বকাপের ভারত পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচে পাক দলের জয়ে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল জম্মু কাশ্মীরের কিছু হবু চিকিৎসককে। এবার তাদের বিরুদ্ধেই ইউএপিএ বা বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে রুজু করা হল মামলা। কাশ্মীরের দুটি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর কাশ্মীর পুলিশ দুটি পৃথক ঘটনার প্রেক্ষিতে আলাদা দুটি মামলা রুজু করেছে। তবে এই মামলায় নির্দিষ্ট করে কোনও পড়ুয়ার নাম রাখা হয়নি। তবে ওই দুটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে বসবাসকারী ছাত্রদের নামেই মামলা দুটি করা হয়েছে। পুলিশের তরফে এই ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে।

ঘটনার সূত্রপাত কাশ্মীরের সৌরা অঞ্চলের SKIMS হোস্টেল এবং শ্রীনগরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে। রবিবারের বহু কাঙ্খিত ভারত পাকিস্তান ম্যাচে বাবর আজমের দল জেতার পরেই উল্লাসে মেতে ওঠেন ওই দুই হোস্টেলের আবাসিকরা। জয়োল্লাসের পাশাপাশি তারা ভারত বিরোধী স্লোগানও দেন বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে এই মামলায় জড়িত হিসেবে যাদের চিহ্নিত করা হবে পাশাপাশি এই মামলায় যাদের নাম যুক্ত হবে তারা আগামীদিনে আর কখনও ভারত সরকার এবং জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের কোনও সরকারি পদে চাকরির আবেদন করতে পারবেন না।

প্রসঙ্গত এর আগে ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে পাঞ্জাবের সাংরুরে ভাই গুরুদাস ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজে উত্তেজনার খবর পাওয়া গিয়েছিল। জানা গিয়েছিল ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে সেখানকার হোস্টেলে থাকা কিছু কাশ্মীরি ছাত্রের উপর হামলার খবর পাওয়া গিয়েছিল। হোস্টেলের ঘরেই তাদের উপর হামলা হয়েছিল বলে খবর। হামলাকারীদের বেশিরভাগই ছিল উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের পড়ুয়া। ওই হামলার ফেসবুকে লাইভও করেন এক আক্রান্ত ছাত্র। ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল হামলাকারীরা লোহার রড এবং লাঠি হাতে কাশ্মীরি ছাত্রদের উপর হামলা করছে।

ওই হামলার অভিযোগ জানানোর পর কলেজ কর্তৃপক্ষ আক্রান্তদের আশ্বাস দিয়েছিলেন ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখার। ওই হামলায় প্রায় ছয়জন কাশ্মীরি ছাত্র আহত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত ভারত পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট ম্যাচ দীর্ঘদিন ধরই বন্ধ। এই দুই দল বর্তমানে একমাত্র আইসিসির টুর্নামেন্টেই একে অপরের মুখোমুখী হয়। দুই দেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণেই ভারত সরকার এই পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে করেছিল। চলতি টি-২০ পুরুষ বিশ্বকাপও ভারতেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতে পাকিস্তানের খেলোয়াদের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে ভারতে আসতে রাজি হয়নি পাকিস্তানের দল। ফলে তৃতীয় দেশ হিসেবে আরব আমিরশাহীতে এই টু্র্নামেন্টেক আয়োজন করতে বাধ্য হয় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড।

আরও পড়ুন: Alapan Bandyopadhyay: কলকাতা থেকে মামলা কেন সরল দিল্লিতে! এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ আলাপন