
নয়াদিল্লি: কয়েকজন বিচারক বা বিচারপতির ক্ষমতার অপব্যবহার গোটা বিচারব্য়বস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে গোটা বিচারব্যবস্থাকে। শনিবার সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল নামে এক সম্মেলনে গিয়ে এমনটাই বললেন দেশের প্রধানবিচারপতি বি আর গবাই। পাশাপাশি, বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের টাকা নয়, ন্যায়বিচারের প্রতি প্রেম থাকতে হবে বলেও পরামর্শ দেন তিনি।
তাঁর কথায়, ‘আমি আশা করব, বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের টাকার মোহ নয়, বরং ন্যায়বিচারের সঙ্গে প্রেম রয়েছে। সেই দিকেই তাঁরা নিজেদের উৎসর্গ করতে চান।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমাদের কাছে আসা বিচারপ্রার্থীরা, আমাদের বিশ্বাস করেন। তাঁরা মনে করেন, এখানেই হয়তো তাঁদের সমস্যার সুরাহা হবে। তাই আমাদের দায়িত্ব এবং ন্য়ায় ছাড়া কোনও রং আমাদের রায়ে লাগতে দেওয়া যাবে না। আর তা উচিতও নয়।’
সম্প্রতি নগদকাণ্ড ঘিরে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভর্মা। পরবর্তীতে তাঁকে দিল্লি থেকে বদলি করে পাঠানো হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাবও পাশাপাশি, এই বিতর্ক যখন দানা বাঁধে, সেই সময় বিচারপতি ভর্মার অপসারণেরও সুপারিশ করেছিলেন পূর্বতন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। এই আবহে বর্তমান প্রধান বিচারপতির করা মন্তব্যও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিনের সম্মেলনের বম্বে হাইকোর্টের একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সেই উচ্চ আদালতের বিচারপতির আচরণ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করতে দেখা যায় তাঁকে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সম্প্রতি বার কাউন্সিলে, খবরের কাগজে এবং কিছু অনলাইন পোর্টাল থেকে একটা ঘটনার কথা জানতে পারলাম। আমি কারওর নাম নেব না। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা গোটা প্রতিষ্ঠানকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে। শুনলাম একজন বিচারপতির তীব্র অপমানের কারণে একজন আইনজীবী আদালতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছেন। আমাদের মাথায় রাখা প্রয়োজন, ন্যয়বিচারের যে সোনার পাখি রয়েছে, বিচারপতি এবং আইনজীবীরা সেই পাখির দু’টি ডানা। কেউ উচ্চ পদস্থ কিংবা নিম্ন পদস্থ নন, বরং উভয়েই অপরিহার্য।’