
নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের সঙ্গে যখন আবার নতুন করে সম্পর্ক বিষিয়েছে ভারতের। বন্ধ হয়েছে দুই দেশের সীমানা পথ। সেই আবহেই চিনের সঙ্গে ‘নতুন সম্পর্ক’ তৈরি করল নয়াদিল্লি। কাটল কৈলাস নিয়ে পাকতে থাকা ‘জট’। দূরত্ব ভুলে পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে গেল তিব্বতের দ্বার। আগামী জুন মাস থেকেই শুরু হচ্ছে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা। পাঁচ বছর ফের একবার পুণ্যার্থীদের নাম নথিভুক্ত করা শুরু করেছে কেন্দ্র।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রেজিস্ট্রেশনের পর একেবারে যান্ত্রীক মাধ্যমেই ৫০ জন করে পুণ্যার্থী নিয়ে ১৫টি ব্যাচ তৈরি করা হবে। যার মধ্যে পাঁচটি ব্যাচ মানস সরোবর পৌঁছবে লিপুলেখ পাস হয়ে। বাকি দশটি ব্যাচ পৌঁছবে নাথুলা পাস হয়ে। ২০১৫ সাল থেকেই যান্ত্রীক পদ্ধতির মাধ্যমে এই ভাবে একাধিক ব্যাচ ভাগ করে হচ্ছে যাত্রা। কিন্তু করোনাপর্ব থেকে সেই যাত্রায় বাঁধ পড়েছিল, যা আবার খুলে গেল পাঁচ বছর পর।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দু’দিনের বেজিং সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী। সেই সফরেই চিনের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠক পর্বে উঠে আসে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার কথা। তারপরেই গত বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ থাকা কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত উপনীত হয় দুই দেশ। পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি বিমানযাত্রার শুরু করার কথা একটা ইতিবাচক মোড় নিলেও, সেই নিয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, করোনার উপদ্রবকে কারণ দেখিয়ে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা বন্ধ করা হলেও আসল সত্যিটা অন্য বলেই দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। গালওয়ান-কাণ্ডের পর ভারত-চিনের মধ্যে সীমানা নিয়ে বাড়তে থাকা দূরত্বই প্রভাব ফেলেছিল এই পুণ্যযাত্রায়, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।