Kalyan Banerjee: ‘আজকাল বিচারপতিরা বেশি কথা বলেন’, প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ শুনেই ‘পাঠ’ কল্যাণের
Supreme Court: এর আগে কলকাতা হাইকোর্টেও এমন ঘটনা ঘটেছে। অভিজিৎ খুন-মামলায় মক্কেলের জামিন চাইতে গেলে আর্জি খারজি করে দেয় হাইকোর্ট। সেই মামলার শুনানিতে কল্যাণ বিচারপতির উদ্দেশে বলেছিলেন, "আমাদের বিচারপতিদের কৃপার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এটাই দুর্ভাগ্য।"

কলকাতা: বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতিদের সম্পর্কে আলটপকা মন্তব্য করেই থাকেন। কলকাতা হাইকোর্টেও বিচারপতিদের উদ্দেশে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বারবার। ভরা এজলাসে বিচারপতি তাঁকে ভর্ৎসনা করেছেন, এমন উদাহরণও আছে। আর এবার খোদ দেশের প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়েই বিস্ফোরক কল্যাণ। বিচারপতিদের কার্যত পাঠ দিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।
মঙ্গলবার রোহিঙ্গা সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত প্রশ্ন তুলেছেন, “রোহিঙ্গাদের কি সরকার শরণার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে? কেন তাঁদের সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে?” রোহিঙ্গাদের রাখতে যে দেশ বাধ্য নয়, সে কথাও এদিন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এই পর্যবেক্ষণের কথা শুনেই কল্যাণের দাবি, ‘বিচারপতি লুজ কমেন্ট করছেন।’
প্রধান বিচারপতির এমন পর্যবেক্ষণের পর সংসদ চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, “জবাব দেওয়া আমার সাজে না। কারণ উনি প্রধান বিচারপতি। তবে একটা কথা বলব, কোনও বিচারপতিরই কোনও লুজ কমেন্ট করা উচিত নয়।” তিনি আরও বলেন, “আগে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় বিচারপতিরা কম কথা বলতেন, আজ সব বদলে গিয়েছে। আজ বিচারপতিরা বেশি কথা বলেন।”
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টেও এমন ঘটনা ঘটেছে। অভিজিৎ খুন-মামলায় মক্কেলের জামিন চাইতে গেলে আর্জি খারজি করে দেয় হাইকোর্ট। সেই মামলার শুনানিতে কল্যাণ বিচারপতির উদ্দেশে বলেছিলেন, “আমাদের বিচারপতিদের কৃপার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এটাই দুর্ভাগ্য।” কল্যাণের এমন মন্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। বিচারপতি বলেছিলেন, “অনেকক্ষণ ধরে আদালত সম্পর্কে নানা মন্তব্য করছেন, সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আপনার লেকচার আদালত শুনবে না। আমি এই মামলা ছেড়ে দিচ্ছি।” এ কথা বলে মামলাটি ছেড়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি।
শুধু তাই নয়, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের কোর্টে নিরাপত্তা সম্পর্কে কল্যাণ এমন মন্তব্য করেছিলেন, যা শুনে বিচারপতি ঘোষ বলেছিলেন, “আপনি এমনভাবে আদালতের সঙ্গে কথা বলেন, তাতে হাইকোর্ট নিজেকে অসম্মানিত মনে করছে। আদালতের ভাবমূর্তি কলুষিত করার চেষ্টা হয়েছে।”
