বেঙ্গালুরু: রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (COVID-19), সঙ্গী হিসাবে জুড়েছে ওমিক্রন (omicron) সংক্রমণও। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই রাজ্যে জারি হয়েছে নৈশকার্ফু(Night Curfew)-র মতো বিধিনিষেধ, কিন্তু এরপরও যদি সাধারণ মানুষ সচেতন না হয়, তবে লকডাউনের পথেই হাঁটতে হবে, এমনটাই জানালেন কর্নাটক(Karnataka)-র মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai)। রবিবারই তিনি বলেন, সংক্রমণ ও লকডাউন এড়াতে সাধারণ মানুষ যেন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে।
বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, “আমাদের (সরকার) অবস্থান খুবই স্পষ্ট। অতীতেও আমরা লকডাউন জারি করেছি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়। সেই কারণেই আমরা কঠোর বিধিনিষেধ জাকি করছি। সাধারণ মানুষের আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।”
রাজ্য় স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার বেঙ্গালুরুতে নতুন করে ৯২৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কর্নাটরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১৮৭ জন। যেহেতু পার্শ্ববর্তী রাজ্য মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে, সেই কারণে সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিকে অধিক সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সংক্রমণ রুখতে রাজ্য়ে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে নৈশ কার্ফু। তবে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে অটো-ট্যাক্সি চালকেরা ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে বিধিনিষেধের নিয়ম কিছুটা শিথিল করার আবেদন জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, “আমাদের দেখতে হবে করোনা সংক্রমণ কতটা ছড়িয়ে পড়ছে। বেঙ্গালুরুতে ইতিমধ্যেই ব্যাপকহারে সংক্রমণ বাড়ছে, একাধিক বিষয় মাথায় রেখেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
মহারাষ্ট্র লাগোয়া রাজ্য হওয়ায়, পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকেও সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে কর্নাটকে। সেই কারণেই বেলাগাভি, বিজয়পুরা ও বিদার জেলার প্রশাসনকে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কর্নাটকে যারাই প্রবেশ করবেন, তাদের সম্পূর্ণ করোনা টিকাকরণের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। একসঙ্গে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টও দেখাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষের, বিশেষত বেলাগাভির বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দিল্লি, মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি চরম অক্সিজেন সঙ্কটের মুখে পড়ছিল কর্নাটকও। সেই কথা মাথায় রেখেই বর্তমানে রাজ্য সরকারের তরফে বিভিন্ন অক্সিজেন প্ল্যান্টের সঙ্গে নিয়মিত অক্সিজেন সরকারের চুক্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে আরও ৪ হাজার আইসিইউ বেড যোগ করা হয়েছে। ব্যবস্থা করা হচ্ছে পর্যাপ্ত ওষুধেরও।
সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। রাজ্যের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ১০ তারিখ থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির যোদ্ধা,ষাটোর্ধ্ব ও কো-মর্ডিবিটি যুক্ত ব্যক্তিদেরও করোনা টিকার প্রিকশন ডোজ় দেওয়া হবে।”