
বেঙ্গালুরু: কাটা জায়গা জুড়তে ফেভিকুইক! এও কি কোনও ভাবে সম্ভব? হয়তো সম্ভব, তাই তো একজন নার্স এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। ঘটনা কর্নাটকের এক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। শিশুর ক্ষত স্থান জুড়তে সেলাই নয়, বরং ফেভিকুইককেই মহৌষধ বলে দাবি করলেন সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স। আর তা ঘিরে পারদের মতো চড়ল বিতর্ক।
গত ১৪ই জানুয়ারি কর্নাটকের হাভেরী জেলার হানাগল তালুকের আদুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঘটে এমন ঘটনা। সাত বছরের এক শিশুর পড়ে গিয়ে থুতনিতে গুরুতর চোট লাগে। প্রাথমিক ভাবে বাড়িতেই চিকিৎসা করার চেষ্টা করেন বাবা-মা। কিন্তু রক্ত না থামলে দায়ে পড়ে দ্বারস্থ হতে হয় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
আর সেটাই যেন কাল হয় তাদের জন্য। শিশুর চিকিৎসা করাতে গিয়ে পাল্টা বিপদ বাড়িয়ে ফেলেন তারা। কোনও মতেই থামছিল না রক্ত। তাই শিশুর ক্ষতস্থান সেলাই না করে ফেভিকুইক লাগিয়ে দেয় সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স।
শিশুর অভিভাবকরা তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও নাকি কোনও রকম ভাবে পাত্তাই দেননি সেই নার্স। উল্টে তিনি দাবি করেন, বছরের পর বছর ধরে এই পদ্ধতিতেই নাকি চিকিৎসা করে আসছেন তিনি। এটি সবচেয়ে উৎকর্ষ উপায়। সেই নার্সের আরও দাবি, সেলাই করলে আজীবন একটা দাগ থেকে যায়। কিন্তু ফেভিকুইক লাগালে তা হবে না।
গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করেন বাবা-মা। দায়ের হন স্থানীয় থানায়। অভিযোগ দায়ের করা হয় সেই নার্সের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বৈঠকে বসেছেন সে রাজ্যের মুখ্যসচিব। বরখাস্ত করা হয়েছে সেই নার্সকে।