Kharge-Dhankhar: উত্তাপ গায়েব, বদলে হাসির ফোয়ারা, খাড়্গেকে ধনখড় বললেন ‘মুছে দেব’
Kharge-Dhankhar at Rajya Sabha: দুদিন আগেই দুই নেতার মধ্যে তীব্র বাদানুবাদের সাক্ষী হয়েছিল রাজ্যসভা। কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। তবে, সোমবার দুই নেতা মাতলেন রঙ্গ-রসিকতায়।
![Kharge-Dhankhar: উত্তাপ গায়েব, বদলে হাসির ফোয়ারা, খাড়্গেকে ধনখড় বললেন 'মুছে দেব' Kharge-Dhankhar: উত্তাপ গায়েব, বদলে হাসির ফোয়ারা, খাড়্গেকে ধনখড় বললেন 'মুছে দেব'](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2024/07/Dhankhar-and-Kharge-1.jpg?w=1280)
নয়া দিল্লি: দুদিন আগেই দুইজনের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদের সাক্ষী হয়েছিল রাজ্যসভা। কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে আসায়, তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। বলেছিলেন, ভারতীয় সংসদের ইতিহাসে এই ঘটনা অভূতপূর্ব। এতে তিনি ‘ব্যথিত’ এবং ‘বিস্মিত’। ধনখড়ই তাঁকে ওয়েলে নামতে বাধ্য করেছেন বলে পাল্টা দিয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গেও। দাবি করেছিলেন, তাঁকে উপেক্ষা করে অপমান করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি, সোমবার (১ জুলাই)-ও অব্যাহত থাকতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু, হল ঠিক উল্টো। রাজ্যসভায় এদিন মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং জগদীপ ধনখড়কে দেখা গেল একাধিকবার হাসিঠাট্টায় মেতে উঠতে। দুদিন আগেই যে একে অপরের বিরুদ্ধে এই রাজ্যসভা কক্ষেই তোপ দাগছিলেন, এদিন তাঁদের দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না।
এদিন, রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবে বিতর্কের সময় বক্তৃতা দিতে উঠে দাঁড়ান মল্লিকার্জুন খাড়্গে। হালকা মুহূর্তের সূচনাও তখনই হয়। তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে জানান, তাঁর হাঁটুতে ব্যথা। তাই তিনি বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারবেন না। অবিলম্বে ধনখড় জানান, তিনি বসে বসেও ভাষণ দিতে পারেন। কংগ্রেস সভাপতি বলেন, চেয়ারম্যানের অনুমতি পেলে তবেই তিনি বসবেন। ধনখড় বলেন, রাজ্যসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় বিরোধী দলনেতার স্বচ্ছন্দে থাকা নিশ্চিত করাটা তাঁদের কর্তব্য। তাই ব্যথা হলে, তিনি বসবেন না দাঁড়াবেন সেই সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নিতে পারেন। এরপরই খাড়্গে হাসতে হাসতে বলেন, দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিলে যে ‘জসবা’ (আবেগ) থাকে, বসে দিলে তা থাকে না। জগদীপ ধনখড়ও হেসে খাড়্গের সঙ্গে একমত হন। সঙ্গে বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি আপনাকে অনেক সাহায্য করেছি।’ খাড়গে বলেন, ‘আমরাও তা মনে রেখেছি’। এতে চেয়ারম্যানও হেসে ওঠেন।
এখানেই শেষ নয়। বিতর্কে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য খাড়্গে চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান। তাতে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে কয়েকজন সাংসদ হেসে ওঠেন। খাড়্গে ,সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁরা হাসছেন কেন? সেই সঙ্গে বলেন, “এই ভাবে ওঁরা আমায় বিভ্রান্ত করেন।” এতে রাজ্যসভায় উপস্থিত প্রায় সকলেই হেসে ওঠেন। হাসতে দেখা যায় সনিয়া গান্ধীকেও। কংগ্রেস সভাপতি তখন বলেন, “মিস্টার চেয়ারম্যানও আমায় বিভ্রান্ত করেন।” ধনখড় মুচকি হেসে বলেন, “এই ক্ষেত্রেও আমি আপনাকে সাহায্য করেছি।” জবাবে ধনখড় বলেন, “আমরা এটা রেকর্ড থেকে মুছে দেব। আমি এটাও করে থাকি।” এতে হেসে ওঠেন খাড়্গে। এরপর তাঁর বক্তৃতার সময় আরেক দফা হাসির রোল ওঠে রাজ্যসভায়। বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদীর বক্তৃতার উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন। “মাফ করবেন, আমি মাঝে মাঝে দ্বিবেদী, ত্রিবেদী এবং চতুর্বেদীর মধ্যে গুলিয়ে ফেলি। আমি দক্ষিণ ভারতের লোক। তাই এ সম্পর্কে আমার খুব ভাল জানা নেই।” ধনখড় হাসিমুখে বলেন, “আপনি চাইলে আমরা এই নিয়ে আধ ঘণ্টা আলোচনা করতে পারি।”
অথচ, গত শুক্রবার রাজ্যসভায় নিট-ইউজি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে একেবারে রুদ্ররূপ ধারণ করেছিলেন এই দুই নেতাই। নিট-ইউজি পরীক্ষার দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যসভায় পৃথক আলোচনা চেয়েছিলেন খাড়্গে। ধনখড় সাফ জানান, নির্ধারিত বিষয়, অর্থাৎ, রাষ্ট্রপচতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়েই আলোচনা হবে। এরপর তিনি ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেন। খাড়্গেও সঙ্গে সঙ্গে ওয়েলে নেমে এসে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। সেই ঘটনা নিয়েই বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন তাঁরা। এদিন, তার বিপরীত চিত্র দেখা গেল। হাসতে হাসতেই একে অন্যকে টক্কর দিলেন তাঁরা। যেমন ধনখড় বিরোধীদের রাজ্যসভায় চর্চা করতে দেন না বলে খাড়্গে অভিযোগ করতেই, ধনখড় বলেন, “আপনি তো এই মুহূর্তে চর্চাই করছেন।” তাতে খাড়্গে বলেন, “আপনি অথেনটিক চর্চা করতে দেন না।” ধনখড় বলেন, “আপনার তথ্য অথেনটিক নয়।”