
ইম্ফল: মূল স্রোতে ফিরছে মণিপুর? মোদীর সফর গুঞ্জনের আগেই যেন শান্তির পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল উত্তর-পূর্বে এই রাজ্য়। অবশেষে খুলে গেল ২ নং জাতীয় সড়ক। ‘বাঁধ’ সরাতে রাজি হয়ে গেল কুকি জনগোষ্ঠী। ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রপতি শাসন। তারপর থেকেই সেখানকার প্রতিবাদী জনগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক চালিয়েছে কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার এমনই একটি বৈঠক বসেছিল নয়াদিল্লিতে। স্বরাষ্ট্র দফতর ও মণিপুরের সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল কুকি নেতারা। সেই বৈঠকেই রাজ্যে নিরাপত্তা ও শান্তি ফেরাতে রাজি হয়েছে কুকি-জো পরিষদ। পাশাপাশি, অশান্তি বিধ্বস্ত এলাকাগুলি থেকে নিজেদের সশস্ত্র ক্যাম্পগুলিকে সরিয়ে নিতেও রাজি হয়েছে ওই জনগোষ্ঠী।
পরিবর্তে সেখানে তৈরি হবে বিএসএফ ক্যাম্প। সাধারণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বেআইনি ভাবে আনা সমস্ত বোমা-বন্দুক তুলে দেওয়া হবে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে। সম্প্রতি মণিপুরে মোদী সফর নিয়ে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথম মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর সংঘাতে উতপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের মণিপুর। তারপর কেটে গিয়েছে কত দিন। মণিপুর সাক্ষী থেকেছে এক রক্তাক্ত অধ্যায়ের। এই আবহে সফর গুঞ্জন সত্যি হলে প্রথমবার সেই অশান্তি-বিধ্বস্ত রাজ্যে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।
তার আগেই শান্তির পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল মণিপুর। এখনও পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সংঘাতে কুকি, মেইতেই, সাধারণ মানুষ এবং নিরাপত্তারক্ষীদের মিলিয়ে প্রাণ গিয়েছে ২৬০ জনের বেশি মানুষের। বয়েছে কত রক্ত। কত মানুষ ঘরছাড়া। কেউ কেউ সীমান্ত পেরিয়ে চলে গিয়েছে মায়ানমারেও।