
নয়াদিল্লি: কয়লার উনুন। কিংবা কাঠ, ঘুঁটে দিয়ে উনুনে রান্না। সেইসব দিন শেষের পথে। দেশের কোণায় কোণায় বাড়ির মহিলারা যাতে গ্যাসে রান্না করতে পারেন, তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই উদ্যোগ যে কতটা কার্যকর হয়েছে, তা গত এগারো বছরে দেশে রান্নার গ্যাস ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে নজর দিলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
কী বলছে পরিসংখ্যান?
পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের পেট্রলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিস সেল (PPAC)-র তথ্য় বলছে, দেশে গৃহস্থালি এলপিজি ব্যবহার ২০২৪-২৫ সালে ৩১.৩ মিলিয়ন মেট্রিক টনে (MMT) পৌঁছেছে। ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী। সেইসময় ২০১৩-১৪ সালে গৃহস্থালির রান্নার গ্যাস ব্যবহার হত ১৬.৩ এমএমটি। আর ২০০৪ সালে যখন ইউপিএ সরকার গঠন হয়, সেইসময় ১০.২ এমএমটি গৃহস্থালির এলপিজি ব্যবহার হত। অর্থাৎ ইউপিএ-র দশ বছর শাসনকালে গৃহস্থালির এলপিজি ব্যবহার বেড়েছে ৬ এমএমটি-র মতো। সেখানে গত দশ বছরে গৃহস্থালি এলপিজি ব্যবহার বেড়েছে ১৫ এমএমটি।
দেখে নিন তথ্য
গৃহস্থালির রান্নার গ্যাসের ব্যবহার বাড়ার কারণ কী?
দেশের কোণায় কোণায় সাধারণ পরিবারও যাতে রান্নার গ্যাস ব্যবহার করতে পারে, সেজন্য ক্ষমতায় আসার পরই উদ্যোগী হয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। দারিদ্রসীমার নিচে থাকা পরিবারগুলির মহিলাদের বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগ দেওয়ার জন্য ২০১৬ সালের মে মাসে ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’ চালু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রান্নার জন্য কাঠ, কয়লা, ঘুঁটে ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে যে স্বাস্থ্যগত সমস্যা হত, তার মোকাবিলায় দরিদ্র পরিবারগুলি যাতে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই প্রকল্প শুরু করা হয়। শুধু বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগই নয়, উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের প্রতি বছর ১২টি করে ১৪.২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারে ভর্তুকিও দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রান্নার গ্যাসের দাম যাতে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে না যায়, সেদিকেও নজর রেখেছে কেন্দ্র। সবমিলিয়ে এখন বাড়িতে বাড়িতে গ্যাসে রান্না করতে দেখা যায় মহিলাদের।