
নয়াদিল্লি: একটা মন্দির, যা আজ পরিণত হয়েছে ভারতের আন্তর্জাতিকীকরণ ভাবনার অন্যতম উপাদান। নজর কেড়েছে বিশ্বনেতাদের। পূরণ করছে ভারতের বসুদেব কুটুম্বকম ভাবনাকে।
সাম্প্রতিককালে, ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক থেকে আমেরিকার উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভান্স। প্রত্যেকেই তাদের ভারত সফরে এসে ঘুরে গিয়েছেন নয়াদিল্লির স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির। এই মন্দিরে এসে মাথা ঠেকিয়ে যাওয়া একাংশের বিশ্বনেতাদের দাবি, এটির ভাস্কর্যই তাদের এখানে টেনে আনে।
১৯৬৮ সালে যোগীজি মহারাজ নয়াদিল্লির বুকে এই মন্দির তৈরির কথা ভাবেন। তার সেই ভাবনার বাস্তবায়ন হয় ১৯৮২ সালে প্রমুখ স্বামী মহারাজের হাত ধরে। দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের থেকে জমি পান তারা। ২০০০ সাল নাগাদ শুরু হয় মন্দির তৈরির কাজ। যা শেষ হয় ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে।
সেই সময় মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও লাল কৃষ্ণ আডবাণী। রাজস্থানী গোলাপী স্যান্ডস্টোন ও ইতালীয় মার্বেল-পাথরে তৈরি হয় এই গোটা মন্দির। যার ভাস্কর্য নজর কাড়ে গোটা বিশ্বের। এই মন্দিরটি নির্মাণের আনুমানিক খরচ দাঁড়িয়েছিল ৪০০ কোটি টাকা।
এই মন্দিরের গর্ভগৃহে রয়েছেন রাম-সীতা থেকে রাধাকৃষ্ণ প্রত্যেকেই। কিন্তু এই সকল মূর্তিগুলির মধ্য়ে মূল আর্কষণ ১১ ফুটের ভগবান স্বামীনারায়ণের মূর্তিটি। সেটিকে ঘিরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে আর সকল ভগবানের মূর্তিগুলি। যা দেখতে প্রতি বছরে হাজির হন কাতারে কাতারে পর্যটক।