নয়া দিল্লি: লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। হারাতে হয়েছে সাংসদ পদ। তবে এখনও সমান ঝাঁঝালো তৃণমূলের অন্যতম মহিলা মুখ মহুয়া মৈত্র। এবার সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পরমার্শ দিলেন, সিবিআই-এর একজন স্পেশাল ডিরেক্টরের কাঁধে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া লিখেছেন, তাঁর পুরনো বন্ধুদের যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করতে যাতে সিবিআই-এর একজন স্পেশাল ডিরেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু কেন আচমকা চটলেন মহুয়া মৈত্র? আবার কী হল?
Urging MHA to set up a special Director CBI to probe all complaints by loser jilted exes pan India. Gratified to see Shahenshah of all Peeping Toms cc’d on complaint. – he honed his surveillance skills covering up for his Sahib in Gujarat & can supervise CBI.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) January 2, 2024
‘ক্যাশ ফর কোয়ারি’ বিতর্কে ইতিমধ্যেই মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এসবের মধ্যেই দ্য হক আই নামে এক এক্স হ্যান্ডেল ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, জয় অনন্ত দেহদরাই ছাড়া অন্য এক পুরনো বন্ধুর উপরেও বেআইনিভাবে আড়ি পাততেন মহুয়া। সিবিআই-এর কাছে জমা পড়া এক অভিযোগপত্রে এই সংক্রান্ত তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি ওই এক্স হ্যান্ডেল ব্যবহারকারীর। আর এসবের মধ্যেই এবার পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সুর চড়িয়েছেন মহুয়া মৈত্র। তাঁকে বার বার অপদস্থ করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ মহুয়ার। বিঁধেছেন বিজেপির আইটি সেলকেও।
Urging MHA to set up a special Director CBI to probe all complaints by loser jilted exes pan India. Gratified to see Shahenshah of all Peeping Toms cc’d on complaint. – he honed his surveillance skills covering up for his Sahib in Gujarat & can supervise CBI.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) January 2, 2024
উল্লেখ্য সিবিআইকে দেওয়া জয় অনন্ত দেহদরাইয়ের অভিযোগপত্র ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেহদরাই জানিয়েছেন, বাংলার কিছু পদস্থ পুলিশ অফিসারের সাহায়্য নিয়ে মহুয়া তাঁর উপর বেআইনিভাবে আড়ি পাতছেন। তাঁর মোবাইল ট্যাপ করে লোকশন ট্র্যাক করা হতে পারে বলেও সংশয় প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী। দেহদরাই আরও দাবি করেছেন, মহুয়া তাঁকে এককালে জানিয়েছিলেন, নিজের পুরনো এক বন্ধু ও তাঁর জার্মান বান্ধবীর উপর নজর রাখতেও এভাবে আড়ি পাতা হয়েছিল। যদিও সেই অভিযোগপত্রের সত্যতা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও। মহুয়াকে নিয়ে এই নতুন করে জলঘোলা প্রসঙ্গে শমীকের বক্তব্য, “মহুয়া মৈত্র একজন মহিলা। তাঁর চরিত্রহনন বা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বিজেপির কোনও আগ্রহ নেই। এই নিয়ে মন্তব্য করার রুচিও বিজেপির নেই। কিন্তু, তাঁরই ঘনিষ্ঠ লোকরা যদি বার বার চিঠি দেয় তদন্তকারী সংস্থাকে, এতে বিজেপি কী করতে পারবে।”
উল্লেখ্য, পেগাসাস ইস্যুতে এই মহুয়া মৈত্রই লাগাতার সুর চড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সেখানে মহুয়ার বিরুদ্ধেই এবার এমন ধরনের অভিযোগ। সেই নিয়ে প্রশ্ন করায় শমীকবাবুর বক্তব্য, “তাহলে কি এখানে এটাই হয়? তৃণমূলের কোনও মন্ত্রী, নেতা, আমলা, পুলিশকর্তা ফেসটাইম ছাড়া কথা বলেন না। তার কারণ কী? এখানে এটা হয়।”