প্রেমিকার মৃত্যুতে বুকফাঁটা কান্না, রাত হতেই প্রেমিকের ‘খেলা’ শুরু! কুবুদ্ধি দেখে স্তম্ভিত পুলিশও
Crime: গীতা শর্মা (৩০) নামক এক যুবতীর দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তে যুবতীর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন মেলে। এর মধ্যে কিছু আঘাত মৃত্যুর আগের ছিল। এরপরই খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ।
লখনউ: রাস্তায় পড়ে যুবতীর মৃতদেহ। কোনও গাড়ি পিষে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছিল পুলিশ। কিন্তু তদন্ত করতে নেমে পুলিশের তো চক্ষু চড়কগাছ। সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য। জানা গেল, অন্য কেউ নয়, প্রেমিকই চাপা দিয়ে মেরেছে প্রেমিকাকে। তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হল লিভ ইন সঙ্গীকে।
শুক্রবার লখনউয়ের পিজিআই এলাকায় গীতা শর্মা (৩০) নামক এক যুবতীর দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তে যুবতীর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন মেলে। এর মধ্যে কিছু আঘাত মৃত্যুর আগের ছিল। এরপরই খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত যুবতীর রায়বরৈলীর বাসিন্দা। গিরিজা শঙ্কর নামক বছর ৩৯-র এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতেন। জেরার জন্য ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। প্রথমে নানা কাহিনি বানালেও পরে পুলিশি জেরায় অপরাধ স্বীকার করে নেয়। জানা যায়, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় লিভ ইন সঙ্গীকে খুন করে। ওই ব্যক্তি আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন। লিভ ইন সঙ্গীকে সেই কথা জানাননি। বিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার বচসা হয়।
জানা গিয়েছে, গীতার নামে এক কোটি টাকার বিমা ছিল, যার নমিনি ছিল গিরিজা শঙ্কর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিমার টাকা হাতানোর জন্যই খুন করা হয়েছে যুবতীকে।
জেরায় জানা যায়, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে গীতা নামক ওই যুবতীকে লং ড্রাইভে যাবেন বলে নিয়ে বের হয় অভিযুক্ত। ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই যুবতীকে অজুহাত দিয়ে গাড়ি থেকে নামায়। যুবতী গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে দুইবার ধাক্কা মারে। তারপর গাড়ি দিয়ে পিষে, মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। পরেরদিন সকালে নিজেই যুবতীর দাদাকে ফোন করে জানায় যে গীতার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। পরে তদন্তে আসল সত্যিটা সামনে আসে।