Manipur Violence: মণিপুরে অশান্ত এলাকা ঘুরে দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ, কথা বলবেন কুকি জনজাতির সঙ্গেও

Amit Shah: বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ মণিপুরের মোরেহ-তে যান তিনি। সেখানে তিনি কুকি জনজাতির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে।

Manipur Violence: মণিপুরে অশান্ত এলাকা ঘুরে দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ, কথা বলবেন কুকি জনজাতির সঙ্গেও
মণিপুরে সেনা টহল। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2023 | 1:16 PM

ইম্ফল: হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও সামাল দিতে সে রাজ্যে সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনদিনের সফরে সোমবার রাতে মণিপুরে পৌঁছন শাহ। মঙ্গলবার দিনভর মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সেনা ও প্রশাসনিক শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আজ মণিপুরের হিংসা বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রাম ও জেলা, মূলত যেখানে অশান্তি ছড়িয়েছে, সেই জায়গাগুলি ঘুরে দেখবেন তিনি। কথা বলবেন কুকি (Kuki) জনজাতির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও।

কেন্দ্রীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, বিগত এক মাস ধরে মণিপুরে যে অশান্তি ছড়িয়েছে, তাতে কমপক্ষে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই অশান্তির কারণ খুঁজতেই মণিপুর সফরে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার মণিপুরের মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আজ, বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ মণিপুরের মোরেহ-তে যান তিনি। সেখানে তিনি কুকি জনজাতির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর দুপুর ১টা নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাঙ্গপোকপি জেলায় যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, মণিপুরের যে জেলাগুলিতে সবথেকে বেশি অশান্তি ছড়িয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কাঙ্গপোকপি। এই অঞ্চল কুকি অধ্য়ুষিত হলেও, সেখানে মেতেই জনজাতিরও বসবাস রয়েছে। অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই জনজাতির বাড়িই ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে, অমিত শাহ রাজ্য সফরে থাকাকালীনই গতকাল নতুন করে একাধিক জায়গায় অশান্তি ছড়িয়েছে। কাকচিং জেলার সুগনুতে সেনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের সংঘর্ষ হয়। পূর্ব ইম্ফলের সাগোলমাংয়েও অশান্তি-সংঘর্ষ ছড়ায়, বেশ কয়েকজন নাগরিক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দফায় দফায় যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন, তার মধ্যে শেষ বৈঠক ছিল মণিপুরের ক্য়াবিনেটের সঙ্গে। ওই বৈঠকে রাজ্যে শান্তি ফেরানোর জন্য় পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একদিকে যেমন কঠোরভাবে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা সামাল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তেমনই হিংসায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের এক সদস্যকে চাকরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই ২০ টন চাল বিলি ও ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের সোমবারই রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশান্ত মণিপুরে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠান। গতকাল সাংবাদিক বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো মণিপুরে গিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব।”