তিরুঅনন্তপুরম: শনিবার থেকেই ভয়ঙ্কর আকার নিতে শুরু করেছে কেরলের (Kerala) বৃষ্টি। একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টির (Heavy Rain) জন্য লাল ও কমলা সতর্কতা (Alert) জারি করা হয়েছিল আগেই, তা সত্ত্বেও একের পর এক মৃত্যু থামছে না কেরলে। রবিবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, কেরলে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও খোঁজ নেই বহু মানুষের। অনেক জায়গায় ধস নেমে বিপজ্জনর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, কোথাও কোথাও পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে আমরা সবরকমের চেষ্টা করব। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনার কাছেও সাহায্য় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই একটি জরুরি বৈঠকএ সেরেছেন তিনি। তবে মৌসম ভবন জানিয়েছে, আজ রবিবার থেকে কিছুটা কমবে বৃষ্টি।
শনিবার কেরলের পাঁচ জেলা পাঠানামথিত্তা, কোট্টায়াম, এরনাকুলম, ইদুক্কি ও ত্রিশূরে প্রবল বৃষ্টিপাতের জন্য লাল সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিরুঅনন্তপুরম, কোল্লাম, আলাপ্পুঝা, পালাক্কাড়, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড়, ওয়ানাড়ে। এই সব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানা গিয়েছে।
একটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, জলমগ্ন রাস্তায় যাত্রীসহ আটকে পড়েছে বাস। অনেক জায়গায় আটকে পড়েছে গাড়িও। অপর একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কোট্টায়ামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি গাড়ি বেশ কয়েকজন মিলে ঠেলে বের করার চেষ্টা করছে। প্রায় হাঁটু জলে আটকে রয়েছে পড়েছিল সেই গাড়িটি। ওই এলাকার অন্তত ১২ জনের কোনও খোঁজ নেই।
এই অবস্থায় কেরলের রাজ্য সরকারের অনুরোধে পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমেছে সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা, নৌসেনা। এমআই-১৭ হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাদার্ন এয়ার কমান্ডের সবকটি বেসে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। জলমগ্ন এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ৩০ জন সেনার একটি দল রওনা হয়েছে কোট্টায়াম জেলার কাঞ্জিরাপ্পালিনের দিকে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতর থেকে রাজ্যের মানুষকে সতর্ক ও নিরাপদে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। নদী, পাহাড় থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়েছে। হাওয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের কারণেই এই বৃষ্টিপাত। ১৭, ১৮ অক্টোবর সারাদিন ও ১৯ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়া হাওয়া বইতে পারে। মৎসজীবিদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হচ্ছে।”
কেরলের ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী টুইটারে লেখেন, কেরলের মানুষের জন্য তিনি চিন্তিত। সকলে যেন সুরক্ষিত জায়গায় থাকেন। নিরাপত্তা সংক্রান্ত সবরকম নিয়ম যেন মেনে চলেন।
আরও পড়ুন: Bharatpur Gang: মহিলা সেজে পাঠানো হত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, তারপরই শুরু লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা