Bharatpur Gang: মহিলা সেজে পাঠানো হত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, তারপরই শুরু লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা

Blackmailing: দিল্লি পুলিশ হাতেনাতে ধরে ফেলল ভরতপুরের সেই চক্র। ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন অনেকে।

Bharatpur Gang: মহিলা সেজে পাঠানো হত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, তারপরই শুরু লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা
অশ্লীল ভিডিয়ো নিয়েই করা হত ব্ল্যাকমেল (প্রতীকি ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2021 | 6:50 AM

নয়া দিল্লি: একবার দুবার নয়, বারবার আসছিল একই অভিযোগ। সবক্ষেত্রেই ফাঁদে ফেলার কায়দাটা অনেকটা একই রকম। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। এরপরই দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) হাতেনাতে ধরে ফেলল ভরতপুরের (Bharatpur) একটি গ্যাং। দিনের পর দিন মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আদায় করেছিল ওই গ্যাং-এর সদস্যরা। রাজস্থানের (Rajastha) ভরতপুর থেকে চালানো হত সেই কার্যকলাপ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ।

দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলের ডিসিপি কেপিএস মালহোত্রা জানিয়েছেন, পরপর একই রকম অভিযোগ আসছিল তাঁদের কাছে। তিনি জানান এক অভিযোগকারী জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়েছিল। তারপর তাঁর কাছে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চাওয়া হয়। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয় বিকৃত করা একটি ভিডিয়ো। অশ্লীল সেই ভিডিয়োতে বসানো রয়েছে ওই ব্যক্তির মুখ। হোয়াটসঅ্যাপে বলা হয় টাকা না দিলে ওই ভিডিয়ো ইন্টারনেটে আপলোড করে দেওয়া হবে। ভয় পেয়ে দিনের পর দিন টাকা দিতে থাকে অভিযোগকারী। তিনি ১ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছিলেন। এরকমই ঘটনা ঘটছিল প্রায়শই। সব ক্ষেত্রেই মহিলা সেজে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হতো।

পুলিশ জানিয়েছে মোবাইল ফোন নম্বর গুলি ব্যবহার করা হচ্ছিল অসম থেকে। এ ছাড়া রাজস্থানের ভরতপুরেও ছিল বেশ কয়েকটি ফোন নম্বর। তদন্ত শুরু করার পর পুলিশ জানতে পারে এই সব কার্যকলাপ চলছিল রাজস্থানের ভরতপুর থেকেই। অভিযোগকারীরা যেসব অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করত, সেই সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ধরেই সূত্র খুঁজতে শুরু করেছিল পুলিশ। এ ভাবেই ধরা পড়ে বছর ২৩-এর হাকমুদ্দিন। আরও তিন জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হলেও এখনও পর্যন্ত তাদের ধরা যায়নি।

কী ভাবে চলত এই কার্যকলাপ? পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণত ফেসবুকে ফেক প্রোফাইল থেকে মহিলার নামে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হতো পুরুষদের। যারা সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করতেন, তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা ক্রমশ এগোতে থাকতো। চ্যাট বক্সে চলত নানা রকম অশ্লীল ভিডিয়ো আদান-প্রদান। সেই সব চ্যাট বেশ কিছুদিন এগোনোর পর, ভিডিয়োগুলো নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা শুরু হত। বলা হত, কত টাকা না দিলে ভিডিয়ো চ্যাট রেকর্ড করে প্রকাশ্যে আনা হবে। এভাবেই লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।

এই ঘটনার রেশ ধরে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে দিল্লি পুলিশ। মানুষ যাতে এইসব ফাঁদে পা না দেন সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার আগে অবশ্যই প্রোফাইল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। আর যদি কেউ ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন, তাহলে যেন অবশ্যই পুলিশকে জানানো হয়।

আরও পড়ুন : Mystery Death: শেয়াল- কুকুরে খুবলে খেয়েছে শরীর! ট্র্যাক্টর নিয়ে তিস্তা পাড় থেকে দেহ উদ্ধার পুলিশের