টেনে খোলাল জামা-প্য়ান্ট, যৌনাঙ্গে ইট বেঁধে দিল সিনিয়র দাদারা! কোচিং সেন্টারে ভয়ঙ্কর নির্যাতনের শিকার কিশোর

Crime News: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, অভিযুক্তরা মিলে ওই কিশোরকে কিল-চড়, লাথি-ঘুসি মারছে। তাঁর গোপনাঙ্গেও ক্রমাগত আঘাত করা হয়। এক অভিযুক্ত ব্লো টর্চ এনে কিশোরের চুল পুড়িয়ে দেয়। কয়েকজ মিলে ওই কিশোরকে বিবস্ত্র করে তাঁর যৌনাঙ্গে ইট বেঁধে দেয়!

টেনে খোলাল জামা-প্য়ান্ট, যৌনাঙ্গে ইট বেঁধে দিল সিনিয়র দাদারা! কোচিং সেন্টারে ভয়ঙ্কর নির্যাতনের শিকার কিশোর
পুড়িয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিত কিশোরের চুলও।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: May 08, 2024 | 7:29 AM

লখনউ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বাড়ি ছেড়ে বড় শহরে পড়তে এসেছিল কিশোর। অন্য পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে সমস্যাও হয়নি, সিনিয়র দাদারাই হয়ে উঠেছিল অভিভাবক। কিন্তু সেই ‘দাদা’রাই যে দিন কয়েক পর এমন অবস্থা করবে, তা দূর-দূরান্তেও ভাবতে পারেনি ওই কিশোর। কোচিং সেন্টারে পড়তে এসে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা কিশোরের। অনলাইন বেটিংয়ের চক্করে তাঁর উপরে নির্যাতন করল একই কোচিং সেন্টারের কয়েকজন পড়ুয়া। বিবস্ত্র করে মারধর করা থেকে শুরু করে তাঁর মাথার চুল পুড়িয়ে দেওয়া হল। এমনকী, যৌনাঙ্গে বেঁধে দেওয়া হল ইট!

সম্প্রতি এই নির্যাতনের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সোমবারই ৬ যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অনলাইন বেটিং করার জন্য ওই কিশোরকে ২০,০০০ টাকা দিয়েছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু ওই কিশোর সমস্ত টাকা খুইয়ে ফেলতেই তাঁরা ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিতে না পারায় এমন বীভৎস অত্যাচার করে তাঁর উপর।

ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, এটাওয়ার বাসিন্দা ওই কিশোর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কানপুরে এসেছিল। সেখানের একটি নামকরা কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়। ওখানেই অভিযুক্তদের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। মোবাইলে অনলাইন বেটিং গেম খেলে লাখ টাকা উপার্জন করা যায়, অভিযুক্তরা এমনটাই প্রলোভন দিয়েছিল কিশোরকে। তাদের কথা বিশ্বাসও করে ওই কিশোর। কোচিংয়ের সিনিয়র দাদারা ২০ হাজার টাকা দেয় তাঁকে বেটিং করার জন্য।

বেটিং করতে গিয়ে সমস্ত টাকাই খোয়ায় ওই কিশোর। এরপরই আসল রূপ ধরে সিনিয়র দাদারা। ২০ হাজার টাকার বদলে ২ লক্ষ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে তাঁরা। কিশোর ওই টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে, তাঁকে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখে অভিযুক্তরা। সেখানেই তাঁর উপর দিনের পর দিন চলে অত্যাচার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, অভিযুক্তরা মিলে ওই কিশোরকে কিল-চড়, লাথি-ঘুসি মারছে। তাঁর গোপনাঙ্গেও ক্রমাগত আঘাত করা হয়। এক অভিযুক্ত ব্লো টর্চ এনে কিশোরের চুল পুড়িয়ে দেয়। কয়েকজ মিলে ওই কিশোরকে বিবস্ত্র করে তাঁর যৌনাঙ্গে ইট বেঁধে দেয়!

দিনের পর দিন এই অত্যাচার চলতে থাকায়, কিশোর তাঁর পরিবারকে জানায়। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হন। কিন্তু পুলিশ প্রথমে ওই কিশোরদের কেবল সতর্ক করে ছেড়ে দেয়। পর গত ৪ মে, সোশ্য়াল মিডিয়ায় নির্যাতনের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করে। গ্রেফতার করা হয় ৬ অভিযুক্তকে।