
মুম্বই: স্টেশনারি দোকানে কাজ করতেন। যা মাইনে পেতেন, তা থেকে কিছু টাকা আলাদা করে রাখতেন। বোনের বিয়ের জন্য তিলে তিলে সঞ্চয় করছিলেন বছর আঠাশের রাহুল গুপ্তা। প্রতিদিন বাড়ি থেকে ভিড় ট্রেনে দু’চোখে বোনের বিয়ে স্বপ্ন দেখতে দেখতে দোকানে পৌঁছতেন। সোমবার এক লহমায় সব স্বপ্ন অন্ধকার হয়ে গেল গুপ্তা পরিবারের। এদিন মুম্বইয়ে লোকাল ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের একজন রাহুল গুপ্তা।
বছর আঠাশের রাহুল গুপ্তা প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে মুম্বরা থেকে মুম্বই যাতায়াত করতেন। তিনি মুম্বইয়ের একটি স্টেশনারি দোকানে কাজ করতেন। পরিবারে মা, বাবা, ছোট বোন এবং ভাই রয়েছেন। গুপ্তা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে ছিল রাহুল। মাসে যা বেতন পেতেন, তা দিয়ে সংসার চালাতেন। ছোট বোনের বিয়ের জন্যও টাকা জমাচ্ছিলেন।
এদিনও লোকাল ট্রেনে মুম্বই যাচ্ছিলেন
রাহুল। প্রতিদিনের মতোই ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড়। দরজায় ঝুলছিলেন তাঁরা কয়েকজন। জানা গিয়েছে, ভিড়ের চাপে কয়েকজন রেললাইনে পড়ে যান। ওই সময়ই পুষ্পক এক্সপ্রেস পাশের লাইন দিয়ে আসছিল। সেই ট্রেনের নীচে কাটা পড়েন ৪ জন। আহত হন আরও কয়েকজন। মৃতদের একজন হলেন রাহুল।
রাহুলের মৃত্যুর খবর শুনে, তাঁর বন্ধু মুকেশ চৌবে এবং কয়েকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বন্ধুর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। রাহুলের পরিবারকে সাহায্যের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। আবার উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হবে।