ইন্দোরের ট্রেনে যুবতীর ধড়, ঋষিকেশের ট্রেন হাত-পা! মিলিয়ে দিল ‘মীরা বেন’ ও ‘গোপাল ভাই’
Murder Case: নিহত যুবতীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তাঁকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তাঁর হাতে একটি ট্যাটু পাওয়া গিয়েছে, যাতে লেখা 'মীরা বেন' এবং 'গোপাল ভাই'। এই দুটি নামের পিছনে 'বেন' এবং 'ভাই' দেখেই অনুমান করা হচ্ছে, যে নিহত কিশোরী গুজরাটের বাসিন্দা হতে পারে।
নয়া দিল্লি: দুই রাজ্যের পুলিশের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক যুবতীর মৃতদেহ। এক রাজ্যের ট্রেন থেকে মিলল যুবতী কাটা হাত-পা, অন্য ট্রেন থেকে মিলল মুণ্ড সহ ধড়ের বাকি অংশ। দূরপাল্লার দুই ট্রেন থেকে মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যুবতীর পরিচয় জানতে কালঘাম ছুটছে পুলিশের।
জানা গিয়েছে, গত ৯ জুন, ইন্দোরে একটি ট্রেন থেকে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। বস্তার ভিতরে শুধু এক যুবতীর ধড় পাওয়া যায়। হাত-পা ছিল না। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা রুজু করে এবং তদন্ত শুরু করে। ঠিক তার পরেরদিনই, ১০ জুন, উজ্জয়ন এক্সপ্রেস ঋষিকেশে পৌছলে, ট্রেন ধোয়াতে গিয়েই একটি শৌচাগারের সামনে থেকে ব্যাগ উদ্ধার হয়। তার ভিতর থেকেই কাটা হাত-পা বের হয়। যে জায়গায় যুবতীর ধড় পাওয়া গিয়েছিল, সেখান থেকে কাটা হাত-পা উদ্ধারের জায়গার দূরত্ব প্রায় ১১০০ কিলোমিটার। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, দুটি ট্রেন থেকে উদ্ধার হওয়া কাটা দেহাংশগুলি একজনেরই।
জিআরপির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিহত যুবতীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তাঁকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তাঁর হাতে একটি ট্যাটু পাওয়া গিয়েছে, যাতে লেখা ‘মীরা বেন’ এবং ‘গোপাল ভাই’। এই দুটি নামের পিছনে ‘বেন’ এবং ‘ভাই’ দেখেই অনুমান করা হচ্ছে, যে নিহত কিশোরী গুজরাটের বাসিন্দা হতে পারে। তবে ট্যাটুতে নামগুলি হিন্দিতে লেখা থাকায়, মধ্য প্রদেশের বাসিন্দাও হতে পারে নিহত যুবতী।
পুলিশের তরফে জনগণের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সাহায্যকারীদের ১০,০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। ইন্দোর এবং ঋষিকেশ জিআরপি রেলস্টেশনে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করছে পুলিশ। কে বা কারা ওই অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীকে খুন করে দেহ দুই টুকরো করে দুটি ট্রেনে ফেলে দিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।