Anubrata Mondal: কালই তিহাড়যাত্রা অনুব্রতর, তবে গারদে নাকি হাসপাতালে ঠিক করবে আদালত…
Anubrata Mondal: সোমবার সকালে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। দীর্ঘক্ষণ তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা।
নয়াদিল্লি: এবার তিহাড়যাত্রার (Tihar Jail) প্রস্তুতি অনুব্রত মণ্ডলের। ইডি হেফাজত শেষে মঙ্গলবার দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হবে তাঁকে। এবার জেল হেফাজতেরই অপেক্ষা। আর জেল হেফাজত মানে তিহাড় জেল। অন্যদিকে আগামী ২৩ মার্চ জামিনের মামলার শুনানি আছে দিল্লি হাইকোর্টে। আদালত সেদিন কী নির্দেশ দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। দিল্লি যাওয়া ইস্তক শরীর ভাল যাচ্ছে না অনুব্রতর। তাঁর আইনজীবী জানান, কাশি হচ্ছে। রাতে অক্সিজেন লাগছে নিয়মিত। নিচ্ছেন ইনহেলারও। তাই শরীর খারাপ থাকলে তিহাড় জেলে না থেকে জেলের হাসপাতালে থাকতে পারেন অনুব্রত। তবে সবটাই নির্ভর করবে মঙ্গলবার রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত কী নির্দেশ দেয় তার উপর।
অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল বলেন, “শরীর খারাপ একটু। শ্বাসের কষ্ট হচ্ছে। কাশি হচ্ছে। বাকি ঠিক আছেন। মঙ্গলবার ওনাকে কোর্টে পেশ করা হবে। তারপর তিহাড়ে যাবেন। জেল হেফাজত হওয়ার কথা কালকে। তবে আজ যে পরীক্ষানিরিক্ষা হয়েছে, এখনও সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট আমরা পাইনি। মঙ্গলবার আদালতেই জানতে পারব। ইনহেলার অনবরত নিতে হচ্ছে ওনাকে। অক্সিজেন ছাড়া উনি রাতে থাকতে পারছেন না। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিহাড়ে হাসপাতাল আছে সেখানে থাকবেন। জেলের ভিতরে থাকবেন না।”
সোমবার সকালে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। দীর্ঘক্ষণ তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা বলে সূত্রের খবর। তবে গারদে না থেকে যদি জেল হাসপাতালে থাকেন, সেক্ষেত্রে আলাদা অনুমতি লাগবে আদালতের। অনুব্রতর আইনজীবীর কথায়, “আদালতে যা অনুমতি নিতে হয় তা নিয়ে নেব। মেডিসিন, অক্সিজেন, নেবুলাইজার সবকিছুরই অনুমতি নেওয়া হবে। ওনার ইনসুলিনও নিয়মিত চলে। ফলে ওনাকে তো নিয়মিত ডিসপেনসারিতে থাকতেই হবে। আমরা কাল সবটাই আদালতে জানাব। যা সিদ্ধান্ত নেবে তারা।”