নয়াদিল্লি: ইডি হেফাজতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে আচমকাই শরীর খারাপ হয়ে পড়ে বীরভূমের এই নেতার। শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর বলে সূত্রের দাবি। নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালেও। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। দীর্ঘক্ষণ তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ইনহেলারও ব্যবহার করেন অনুব্রত। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে? দোলের দিন অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। তাঁকে হেফাজতে পান এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
তবে অনুব্রতকে এখনও গারদে রাখা হয়নি। রাখা হয়েছে সাধারণ ঘরেই। অসুস্থতার কারণেই তাঁকে গারদে না রাখার সিদ্ধান্ত বলে ইডি সূত্রে জানা যায়। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে তাঁর শরীর খারাপ হওয়ার পর তিনি ইনহেলার নেন। এরপর সোমবার সকালে ৯টা ৩৫ নাগাদ তিনি রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে যান।
গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। গত বছর ১৪ মার্চ বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সিবিআই হেফাজতে ছিলেন তিনি। রাখা হয় আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে। সেখান থেকেই ইডি ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ করে তাঁকে। দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়।
ইডি সূত্রে খবর, বিপুল টাকার লেনদেন, জমিজমা, বাড়ি, রাইসমিল, সংস্থা-সহ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁর এক সময়ের ছায়াসঙ্গী সেহেগল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিও গ্রেফতার হয়েছেন ইডির হাতে। তাঁরাও দিল্লিতেই রয়েছেন। অন্যদিকে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও একাধিকবার দিল্লিতে তলব করা হয়েছে।
সোমবারও তাঁকে দিল্লিতে ডেকেছিল ইডি। সকাল ১১টা নাগাদ ইডি অফিসে পৌঁছনোর কথা ছিল তাঁর। তবে এই তলব তিনি এড়িয়ে যান। এদিকে মঙ্গলবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকে। এবার পুলিশ হেফাজত থেকে জেল হেফাজতে যেতে হতে পারে অনুব্রতকে। তেমনটা হলে জায়গা হবে তিহাড়। তার আগের দিনই অনুব্রতর এই অসুস্থতা।