‘পাল্টি খাওয়া বন্ধ করুন’, NTA-কে ভুল শোধরানোর কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

NEET Scam: এ দিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-কে কড়া ধমক দিয়ে বলে, "পরীক্ষা নিয়ে বারবার অবস্থান বদল করা মেডিক্য়াল পড়ুয়াদের জন্য মোটেও সঠিক নয়।"

'পাল্টি খাওয়া বন্ধ করুন', NTA-কে ভুল শোধরানোর কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল চিত্রImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2024 | 12:11 PM

নয়া দিল্লি: নিট পরীক্ষায় বেনিয়ম নিয়ে সুপ্রিম তিরস্কারের মুখে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (National Testing Agency)। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে এ দিন এনটিএ(NTA)-কে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থায় ভুলভ্রান্তিগুলো শুধরে নিতে বলা হল। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের তরফে এক বছরের মধ্যে পরীক্ষা পদ্ধতিতে ভুল শুধরে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে নিটের প্রশ্ন ফাঁস দেশজুড়ে নয়, শুধুমাত্র পটনা ও হাজারিবাগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

এ দিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-কে কড়া ধমক দিয়ে বলে, “পরীক্ষা নিয়ে বারবার অবস্থান বদল করা মেডিক্য়াল পড়ুয়াদের জন্য মোটেও সঠিক নয়”। এনটিএ(NTA)-র পরিকাঠামগত ক্ষেত্রে কী কী ঘাটতি রয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করা হয়েছে। পরীক্ষা পদ্ধতিতে যা যা ভুল হয়েছে, তা চলতি বছরেই শুধরে ফেলতে হবে পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থাকে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

শীর্ষ আদালতের তরফে রায়ে বলা হয়, “এনটিএ-র পরিকাঠামোগত প্রক্রিয়ায় খামতিগুলি তুলে ধরেছি আমরা। পড়ুয়াদের মঙ্গলের ক্ষেত্রে এই ধরনের ভুল-ভ্রান্তি মানা যায় না।”

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের তরফে ইসরোর প্রাক্তন প্রধান ডঃ কে রাধাকৃষ্ণনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটিকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্য়ে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। পরীক্ষা পদ্ধতিতে কী খামতি রয়েছে এবং তা পূরণ করতে কী পরিবর্তন  করা উচিত, তা নিয়েই সুপারিশ দেবে এই কমিটি। শিক্ষা মন্ত্রককে দুই সপ্তাহের মধ্যে তার সাপেক্ষে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানাতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের তরফে কমিটিকেও আট পয়েন্টে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা প্রোটোকলও দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে-

* ⁠পটনা এবং হাজারিবাগ ছাড়া কোথাও পদ্ধতিগত জালিয়াতির কোনও প্রমাণ আমরা পাইনি। তাই পুনরায় পরীক্ষার আবেদন খারিজ করা হল। * এনটিএ-কে নিজের বারবার অবস্থান বদলানোর অভ্যাস বদলাতে হবে।  * ⁠যে যে খামতিগুলি উঠে এসেছে, সেগুলি সরকারকে ঠিক করতে হবে এবং আমাদের রিপোর্ট দিতে হবে। *  পরীক্ষার পদ্ধতিগত খামতি কি রয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখবে উচ্চ কমিটি। * ⁠পরীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য আরও বেশি করে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। * নকল পরীক্ষার্থী কমানোর জন্য বিভিন্ন স্তরে ডিজিটাল ভেরিফিকেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। * ⁠পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে তা সংরক্ষণ এবং তার বন্টন পদ্ধতি সহজ করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করতে হবে। এবং তা কড়া ভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কি না, তার উপরে নজর রাখতে হবে। * ⁠প্রয়োজনে অন্য দেশের সঙ্গে কথা বলতে হবে, এ ধরনের প্রবেশিকা পরীক্ষায় তাঁরা সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য কী কী করছে সে বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। * ⁠আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়ারাও যাতে সমান সুযোগ পায় সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।