
নয়া দিল্লি: শ্রমিকদের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ মোদী সরকারের। কর্মীদের সুরক্ষা ও নিশ্চয়তার কথা ভেবে বড় সংস্কারের পথে হাঁটল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ, শুক্রবার থেকে দেশ জুড়ে কার্যকর হল নতুন চার লেবার কোড। ন্যুনতম বেতন থেকে গ্র্য়াচুইটি- সব ক্ষেত্রেই এবার নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন প্রায় ৪০০ মিলিয়ন কর্মী। কয়েক দশক পুরনো শ্রম আইনকে এবার আরও আধুনিক করা হল।
কোড চালু হওয়ার পর শ্রমিকরা কোন কোন ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন, তা উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় মনসুখ মাণ্ডব্য। মন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এটা কোনও সাধারণ পরিবর্তন নয়। শ্রমিকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক বড় পদক্ষেপ করেছেন। আত্মনির্ভর ভারত গঠনের পথে এ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
লেবার কোডের কথা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীও। তিনি লিখেছেন, “স্বাধীন ভারতে শ্রমিকদের জন্য সবথেকে বড় সংস্কার এই নতুন লেবার কোড। এতে আমাদের শ্রমিকর আরও বেশি ক্ষমতা প্রদান করবে। ব্যবসার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।”
Shramev Jayate!
Today, our Government has given effect to the Four Labour Codes. It is one of the most comprehensive and progressive labour-oriented reforms since Independence. It greatly empowers our workers. It also significantly simplifies compliance and promotes ‘Ease of…
— Narendra Modi (@narendramodi) November 21, 2025
কী কী বিষয় রয়েছে এই লেবার কোডে?
১. নির্দিষ্ট সময়ে ন্যুনতম বেতন পাবেন সব কর্মী।
২. যুবক-যুবতীরা নিশ্চিতভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাবেন।
৩. প্রত্যেক মহিলা পুরুষ কর্মীর সমান বেতন ও সম্মান পাবেন।
৪. ৪০ কোটি কর্মীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
৫. কাজ শুরু করার এক বছর পর থেকেই গ্র্যাচুইটি পাবেন নিশ্চিতভাবে।
৬. ৪০ বছরের বেশি সব কর্মীকে বছরে একবার বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে।
Modi Government’s Guarantee: Dignity for Every Worker!
From today, the new labour codes have been made effective in the country. They will ensure:
✅ A guarantee of timely minimum wages for all workers
✅ A guarantee of appointment letters for the youth
✅ A guarantee of equal…— Dr Mansukh Mandaviya (@mansukhmandviya) November 21, 2025
৭. ওভারটাইমের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ বেতন।
৮. ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ স্বাস্থ্য সুরক্ষা।
৯. আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেনে সব কর্মীর সামাজিক ন্যয়বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।